সীমিত পরিমাণে খান আঙ্গুর
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১১ সেপ্টেম্বর: ছোট হোক বা বড়, আঙ্গুর সবাই খেতে পছন্দ করে। আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই এটি খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। কিন্তু আজ আমরা এর দ্বারা সৃষ্ট অসুবিধা সম্পর্কে বলবো। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে আঙ্গুর খান, তবে জেনে রাখুন, এর অনেক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও রয়েছে।
আকাশ হেলথকেয়ার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান ডাঃ অনুজা গৌড়ের মতে, ১০০ গ্রাম আঙ্গুরে প্রায় ৭০ ক্যালোরি, ১ গ্রাম প্রোটিন, ১\২ গ্রামের কম চর্বি, ১ গ্রামের বেশি ফাইবার, দৈনিক চাহিদার ২০% তামা, ১৭% ভিটামিন কে, ৭% থায়ামিন রয়েছে। এগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বৃদ্ধির সমস্যা হতে পারে। শুধু তাই নয়, বেশি আঙ্গুর খাওয়ার কারণে পেট সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা দিতে পারে, তাই সীমিত পরিমাণে আঙ্গুর খাওয়া উচিৎ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বেশি আঙ্গুর খাওয়া আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ডায়রিয়া হতে পারে -
খুব মিষ্টি জিনিস বেশি খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। যে খাবারগুলিতে চিনির অ্যালকোহল রয়েছে তা থেকে ডায়রিয়া হতে পারে। কিন্তু আঙ্গুরে চিনির অ্যালকোহল রয়েছে এমন যথেষ্ট প্রমাণ নেই। আঙ্গুরে সাধারণ চিনির উপস্থিতির কারণে এটি খেলে ডায়রিয়া হতে পারে, তাই আগে থেকেই পেট খারাপ থাকলে এটি অতিরিক্ত খাওয়া উচিৎ নয়।
পেট খারাপ হতে পারে -
আঙ্গুরে স্যালিসিলিক অ্যাসিড থাকে। যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে প্রদাহ, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া এবং ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। অতিরিক্ত আঙ্গুর খাওয়ার ফলে অ্যাপেনডিসাইটিসের মতো সমস্যাও হতে পারে। আঙ্গুর ঠিকমতো হজম না হলে পেটে ব্যথা হতে পারে।
কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে -
বিশেষজ্ঞদের মতে, কারুর যদি দীর্ঘস্থায়ী কিডনির রোগ থাকে বা সুগারের সমস্যা থাকে তবে তার আঙ্গুর খাওয়া উচিৎ নয়। ওষুধ খেলেও, আঙ্গুর খাওয়া এড়ানো উচিৎ। কারণ কখনও কখনও ওষুধের সাথে আঙ্গুরের বিপরীত প্রভাব হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় সমস্যা হতে পারে -
আঙ্গুরে শক্তিশালী পলিফেনল থাকে, যা রেড ওয়াইনেও পাওয়া যায়। এসব কারণে গর্ভস্থ শিশুর অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা দেখা যায়। অতএব, নিজের এবং সন্তানের নিরাপত্তা বজায় রাখতে, গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।
অ্যালার্জির কারণ হতে পারে -
খুব কম লোকেরই আঙ্গুরে অ্যালার্জি হয়। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত অ্যালার্জি বেশ বিপজ্জনক হতে পারে। এতে লিকুইড প্রোটিন ট্রান্সফার থাকে এবং এটিই অ্যালার্জির কারণ হয়। এর অ্যালার্জির লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে চুলকানি, ফুসকুড়ি এবং মুখ ফুলে যাওয়া। এই অ্যালার্জিগুলি বিপজ্জনক, তবে নিরাময় করা যেতে পারে।
আঙ্গুর সীমিত পরিমাণেই খাওয়া উচিৎ, বিশেষ করে যদি আপনি কিডনি বা ডায়াবেটিসের রোগী হন। আঙ্গুরের খোসাও ক্ষেত্রবিশেষে ছাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ, কারণ খোসা শুদ্ধ আঙ্গুর ৬ থেকে ১২ মাসের শিশুদের গলায় আটকে যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment