সকালের সূর্যের আলোতেই লুকিয়ে রয়েছে ব্রণর সমাধান!
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৩ সেপ্টেম্বর: বেলা যত বাড়তে থাকে, রোদের তীব্রতার পারদ তত চড়তে থাকে। কড়া রোদ শরীরের জন্যেও ভাল নয়। কিন্তু সকালের দিকের রোদের বিষয়টি আলাদা। সকালের রোদ গায়ে লাগানো স্বাস্থ্যকর বলেই মনে করেন চিকিৎসকরাও। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি শরীরে প্রবেশ করে। যা ব্রণর মতো সংক্রমণের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।
শরীরের ভাল হরমোন নামে পরিচিতস সেরাটোনিন। সকালের দিকে সূর্য থেকে যে আলো পাওয়া যায় তাতে সেরাটোনিন হরমোন সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেরাটোনিন হরমোন নিঃসৃত হওয়ার সময়সীমা প্রায় ৩০-৪৫ মিনিট। এই সময়ের যে পরিমাণ হরমোন নিঃসৃত হয়, তা শরীর এবং ত্বকের চনমনে ভাব বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট। আলস্য দূর হয়। ত্বকের ছিদ্রমুখে জমে থাকে তেল সহজে বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। ফলে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়।
ঘুমের উন্নতি ঘটায়
ঘুম কম হলে শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। শরীর এবং মনের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে এই হরমোন। কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া মানে আরও বেশি প্রদাহ। সেই সঙ্গে সিবাম উৎপাদনের পরিমাণও অনেক বেশি হয়। যা ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ত্বক অতিরিক্ত রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে ওঠে। সকালের দিকে সূর্যের আলো ঘুমের চক্র ঠিক রাখে। ঘুমের ঘাটতি তৈরি হতে দেয় না।
শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ বাড়ায়
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বেশির ভাগ ব্রণ আক্রান্তদের ভিটামিন ডি-র ঘাটতি রয়েছে। এই ভিটামিন শুধুমাত্র হজমের গোলমাল ঠেকায় তা নয়, হরমোনের সক্রিয়তা বজায় রাখে এই ভিটামিন। যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি কমাতে প্রতি দিন এক বার হলেও অন্তত রোদে বেরোন। সকাল ১১টার আগে এবং দুপুর ২টোর পরে বাইরে গেলে সানস্ক্রিন মাখার প্রয়োজন নেই। এই দুটি সময়ে অন্তত ১৫-২০ মিনিট রোদে থাকুন। উপকার পাবেন।
No comments:
Post a Comment