সৌরভকে ভালোবেসে বিয়ে করলেন না এই অভিনেত্রী
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক,১৬ সেপ্টেম্বর: ৯০এর দশকের বলিউডের সবচেয়ে সুন্দরী ও শীর্ষ অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হলেন নাগমা। সেই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু জানলে অবাক হবেন তিনি ভারতীয় এক ক্রিকেটারকে ভালোবেসে সারাজীবন অবিবাহিত থেকে গেছেন। সেই ক্রিকেটার আর কেও নয় আমাদের সবার প্রিয় সৌরভ গাঙ্গুলি। চলুন জেনে নিই ঘটনার বিষদ সম্পর্কে।
অভিজাত ও বর্ধিষ্ণু ব্যবসায়ী রাজপুত বংশে নাগমার জন্ম ১৯৭৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর। তার বাবার নাম প্রতাপসিংহ মোরারজি। তার মা শামা কাজি ছিলেন কোঙ্কণি মুসলিম পরিবারের মেয়ে। পরবর্তী সময়ে তার নাম হয় সীমা। প্রতাপসিংহের সঙ্গে শামার বিয়ে হয় ১৯৬৯ সালে। তবে ১৯৭৪ সালে ভেঙে যায় তাদের দাম্পত্য জীবন।
এরপর মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিনয় জগতে পা রাখেন নাগমা। সলমন খানের বিপরীতে ইন্ডাস্ট্রিতে ডেবিউ করেন তিনি। ১৯৯০ সালে বাঘি: অ্যা রেবেল ফর লাভ ছবিতে অভিনয় করা প্রচুর খ্যাতি কুড়িয়েছেন নায়িকা। রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠেন তিনি। এরপরই একাধিক ছবির অফার পান অভিনেত্রী।‘কিং আঙ্কল’, ‘সুহাগ’, ‘লাল বাদশা’, ‘চল মেরে ভাই’, ‘ইয়ে তেরা ঘর ইয়ে মেরা ঘর’, ‘অব তুমহারে হাওয়ালে বতন সাথিয়ো’ ছবি নাগমার কেরিয়ারে উল্লেখযোগ্য।
তবে নাগমা আজ অবধি বিয়ে করেননি ৷ তাকে বিয়ে করার প্রসঙ্গে তিনি বহুবার বলেছেন তার জন্য যিনি লাইফ পার্টনার তার খোঁজ এখনও পাননি তিনি ৷ আর তাই বিয়েও করেননি ৷আসলে নব্বইয়ের দশকের অভিনেত্রী নাকি ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে প্রেম করছেন এই জল্পনা জোরালো গুঞ্জনের আকার নিয়েছিল৷ যদিও এই বিষয়ে কোনোদিন মুখ খোলেননি মহারাজা।
এছাড়াও একাধিক বার বিভিন্ন জায়গায় তাদের দুজনকে একসঙ্গেও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সৌরভ বিবাহিত হওয়ায় গুঞ্জন তেমন বাড়ার সুযোগ পায়নি।এদিকে ২০০৯ সালে একটি সাক্ষাৎকারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন নাগমা। সরাসরি নাম না করে অভিনেত্রী বলেছিলেন সেই অধ্যায়কে তিনি ভুলতে পারবেন না কখনও। গোটা বিষয়টিকে অবাক করা বলে আখ্যা দিয়েছিলেন নাগমা।
নাগমা জানিয়েছিলেন, হাজার হাজার মানুষের মধ্যে একজন মানুষ হঠাৎ খুব বিশেষ হয়ে ওঠে। দুটি জগৎ থেকে আসা দুটি বিখ্যাত মানুষ যখন একে অপরকে ভাল করে চেনেন, পছন্দ করেন, তখন অনেকে অনেক কথা বলেন। পৃথিবী হয়তো দুজন বিখ্যাত মানুষের ঘনিষ্ঠতা পছন্দ করে না। সেটা যেন ধ্বংস ডেকে আনে। আর তাই, সব ছেড়ে দিতে বলা হয়।
No comments:
Post a Comment