পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে তৃণমূলের কোন্দল! উত্তেজনা
নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার, ০১ সেপ্টেম্বর: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল। গন ইস্তফার পথে অপর গোষ্ঠীর পঞ্চায়েত সদস্যরা। ঘটনা আলিপুরদুয়ারের। জেলা জুড়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল বেড়েই চলছে দিনকে দিন। শুক্রবার বোর্ড গঠন নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় ভুটান সীমান্ত লাগোয়া জয়গাঁ -১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে। আর এই ঘটনায় ফের একবার তৃণমূলের ভেতরের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল।
গত ১১ই অগাস্ট সমস্যা তৈরি হওয়ায় সেদিনের মত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল বোর্ড গঠন। পরবর্তী দিন ঠিক হয় পয়লা সেপ্টেম্বর। এদিন জয়গাঁ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন প্রধান হিসেবে বিডিও নাম চূড়ান্ত করেন কমল পাখরিনের। আর তারপরই শুরু হয় পেমা লামা গোষ্ঠীর বিক্ষোভ। বিডিও-র গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করলে, তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয় জয়গাঁ থানার পুলিশ।
জয়গাঁ ১ নং অঞ্চলের তৃণমূল দলনেতা ও পঞ্চায়েত সদস্য সেসাং লামা জানান, দলের তরফ থেকে তিনি যে খামটি খুলেছিলেন, সেখানে প্রধান হিসেবে পেমা লামার নাম ছিল। এরপরেই কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মণ সেই খামটি সরিয়ে নেন এবং অন্য খাম বের করে কমল পাখরিন (লামা)-এর নাম প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপরেই পেমা গোষ্ঠী পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান।
হঠাৎই তারা জেলা নেতা গঙ্গা প্রসাদ শর্মার বাড়িতে চলে যান। সেখানে রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলে। আসেন ব্লক সভাপতি বীরেন্দ্র বারা ওরাঁও। পেমা গোষ্ঠীর ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য পঞ্চায়েত পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন। ব্লক এবং জেলা সভাপতিকে ইস্তফা পত্র পাঠাবেন তারা।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঙ্গা প্রসাদ শর্মা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন যে, তিনি তৃণমূলে সাধারণ কর্মী হিসেবেই থাকতে চান, জেলা নেতা হিসেবে আর না। অপরদিকে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে বিডিও প্রশান্ত বর্মণ জানান, যা হয়েছে আইন মোতাবেক হয়েছে।
এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী বলেন, 'বিষয়টি আমার জানা নে।ই জেলা সভাপতিই সব বলতে পারবেন।' কিন্তু জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বাড়াইক এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
উল্লেখ্য, জয়গাঁ ১ নং অঞ্চলে মোট ৩০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন রয়েছে, যার মধ্যে তৃণমূল ১৯ টা এবং বিজেপি ১১ টি আসনে জয়ী হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের এই ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্যরা ইস্তফা দিলে বোর্ড গঠন নিয়ে যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে, এমনই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।
No comments:
Post a Comment