ওদের মানসিক সমস্যা রয়েছে, ট্রোলারদের ধুয়ে দিলেন অপরাজিতা
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৫ সেপ্টেম্বর: লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টারের পর জল থই থই ভালোবাসা নিয়ে ছোটপর্দায় ফিরছেন অপরাজিতা আঢ্য। সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিং থেকে নিজের শর্তে কাজে ফেরা প্রসঙ্গে অকপট অভিনেত্রী।
জমিয়ে বাঁচার গল্প নিয়ে ছোটপর্দায় ফিরছেন অপরাজিতা আঢ্য। স্টার জলসার পর্দায় দেখা মিলবে অভিনেত্রীর। সিরিয়ালের নাম জল থই থই ভালোবাসা। আগামী সোমবার থেকেই সম্প্রচারিত হবে এই মেগা।
সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচণ্ড অ্যাক্টিভ অপরাজিতা। নিয়মিত নাচের রিল ভিডিয়ো পোস্ট করেন অভিনেত্রী। এর জন্য কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। কেন ট্রোলারদের পালটা জবাব দেন না অভিনেত্রী? অপরাজিতা কড়া ভাষায় বললেন, আমার ভিডিয়ো ৫ লাখ দর্শক লাইক করলে এই ধরণের বিরূপ মন্তব্য করে চার-পাঁচ লোক। তাদের নিশ্চয় মানসিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, নিশ্চয়ই মানসিক অসুস্থতা বা সমস্যা রয়েছে। তাদের প্রতি আমি সহানুভূতিশীল, তাদের জবাব দিয়ে আমি নিজেকে কেন ছোট করব? আর সত্যি বলতে আমার ওতো সময় নেই, আমি ওগুলো পড়ি না-দেখি না।
আমাকে নিতে বড় বাজেট লাগে, ছোটপর্দায় কামব্যাক প্রসঙ্গে অপরাজিতার এহেন মন্তব্য ঘিরে যখন তোলপাড় টেলিপাড়া তখনই নতুন সিরিয়ালের ঘোষণা সারেন অভিনেত্রী। যদিও অপরাজিতার সাফ কথা, সংবাদমাধ্যমে তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখা হয়েছে। সব বিতর্ককে পিছনে ফেলে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সিরিয়ালের হাত ধরে ফিরছেন অপরাজিতা আঢ্য, তবে নিজের শর্তে মনে করালেন তিনি!
শ্রীময়ীর পর ফের লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখনীতে মধ্যবয়স্কা নারীর গল্প। জল থই থই ভালোবাসা ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রথম কলকাতাকে সাক্ষাৎকারে অপরাজিতার সাফ জানান, খুব কম সংখ্যক লেখক-লেখিকার চিত্রনাট্যে আমি কাজ করতে ভালোবাসি। লীনা গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর অন্যতম। যখন জানলাম উনি লিখবেন চরিত্রটা, আমি জানি চরিত্রটার প্রতি একদম সঠিক বিচার হবে, সেটা দারুণ জায়গায় যাবে। মানুষ চরিত্রটা দেখে আরাম পাবেন। ওনার লেখা আমার পছন্দ তাই রাজি হয়েছে, তবে আমি নিজের শর্তে অনড় আছি।
লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার-এর পর মাস কয়েক বিরতি। এবার কোজগরী বসু হয়ে ফিরছেন অপরাজিতা। লিডিং হিরোইন হিসাবে কার সঙ্গে প্রতিযোগিতা অপরাজিতা আঢ্যর? হাসি মুখে বললেন, আমি অবশ্যই প্রতিযোগিতার মধ্যে আছি। আমার সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী আমি নিজে। আজ যদি আমি এক পা হাঁটি, কাল দু-পা হাঁটব। যেহেতু আমি নিজেই নিজের প্রতিযোগী তাই যতদিন বেঁচে থাকব সেই প্রতিযোগিতার মধ্যেই থাকব।
বয়স শুধুই একটা সংখ্যা! একথা শুধু কোজাগরী নয়, মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন অভিনেত্রী নিজে। তাঁর কথায়, মানুষের কাছে বয়স কোনও ফ্যাক্টর নয়। মানুষ যা চায় সেটা করতে পারে। এই চরিত্রটার মূল কথা শেখার কোনও বয়স নেই। শিখতে চাইলে সব বয়সেই শেখা যায়। কোজগরীকে নিয়ে তাঁর সংযোজন, ও বিশ্বাস করে বয়সটা কোনও ফ্যাক্টর নয়। এটার জন্য কনফিডেন্স তো দরকার। ওর এই জোরটা আছে, সব বয়সে সবটা করা যায়।
No comments:
Post a Comment