বাংলায় ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি, আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 27 September 2023

বাংলায় ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি, আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার


 বাংলায় ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি, আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার



নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৭ সেপ্টেম্বর, কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজার মানুষ।  যাদবপুর, টালিগঞ্জ এবং বাঘাযতীন এলাকা থেকে সর্বাধিক ডেঙ্গুর ঘটনা জানা গেছে।  সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যাদবপুরে।



 কলকাতায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।  তবে সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মাত্র তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।  এমন পরিস্থিতিতে মহানগরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বিক্রমগড় ও বিক্রমগড় লেকে অবস্থিত ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার চারপাশে ড্রোন উড়িয়ে কীটনাশক স্প্রে করা হয়।  বিক্রমগড় লেকের দুই পাড়েই আবর্জনার স্তূপ।  বিক্রমগড় হ্রদের দুই তীরে ড্রোন ব্যবহার করে কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছিল।


 যাদবপুর এখন ডেঙ্গুর হটস্পটে পরিণত হয়েছে


 লক্ষণীয় যে যাদবপুর বর্তমানে ডেঙ্গুর হটস্পটে পরিণত হয়েছে।  গত সাত দিনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।  কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখানকার তিনটি জায়গাকে ডেঙ্গু আক্রান্ত এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।  এর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কৃষ্ণা গ্লাস ফ্যাক্টরি এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিক্রমগড় লেক।  কীটনাশক স্প্রে করার সময় কর্পোরেশনের প্রধান কীটতত্ত্ববিদ ডাঃ দেবাশীষ বিশ্বাস বলেছিলেন যে বিক্রমগড়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এখনও উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠেনি।  ডেঙ্গু ছড়ানো মশার লার্ভা লেকের আশেপাশে বিভিন্ন পরিত্যক্ত সামগ্রী বা থার্মোকলের বাক্সে বংশবৃদ্ধি করতে পারে, সেজন্য এখানে কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, হ্রদটি মূলত কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের ৯৩ এবং ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত।  দুটি ওয়ার্ডেই ডেঙ্গুর পরিস্থিতি ভয়াবহ।  বিশেষ করে ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।  একই সঙ্গে ওয়ার্ডে অবস্থিত লেকের ভয়াবহ অবস্থা নিয়ে চিন্তিত কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।



রাজ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ ক্রমাগত কমছে এবং আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে।  রাজ্যের মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী রাজ্য সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সম্বোধন করার সময় একই তথ্য দিয়েছেন।  ডেঙ্গু সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যসচিব বলেন, দুই সপ্তাহ আগে রাজ্যে ডেঙ্গুর সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছিল, কিন্তু এখন তা ধীরে ধীরে কমছে।  মুখ্যসচিব বলেন, বর্তমানে রাজ্যে প্রায় দুই হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।  আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও কমবে।


 

 মুখ্যসচিব বলেন, এর ফলে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।  তিনি মানুষকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন এবং জ্বর হলেই রক্ত ​​পরীক্ষা করান।  মুখ্যসচিব বলেন, ডেঙ্গুর সংক্রমণ শহরতলির এলাকায় সবচেয়ে বেশি ছড়ায়।  এরকম ১৩০টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেসব এলাকায় বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।  আবর্জনা ও জমে থাকা জল পরিষ্কারের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সচেতনতাও বাড়ানো হচ্ছে।  ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।  মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে এক লক্ষ ওষুধযুক্ত মশারি সহ মোট পাঁচ লক্ষ মশারি বিতরণ শুরু হয়েছে অভাবী এবং বস্তিতে বসবাসকারী লোকদের মধ্যে।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad