এখনই বৃষ্টি থামার সম্ভাবনা নেই, প্রবল সতর্কতা এই জেলাগুলোতে
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৫ সেপ্টেম্বর : আগামী ২৪ ঘন্টায় রাজ্যের প্রায় সব জেলাই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে। মালদা ও দিনাজপুরে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে কমবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ। মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা বাড়বে। আর্দ্রতা বৃদ্ধির পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বজ্রঝড় সহ দুই থেকে এক হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। সকালে আকাশ মেঘলা ছিল। বিকেলে আংশিক মেঘলা থাকবে। মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে বাড়বে তাপমাত্রা। শুক্রবারের মধ্যে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। আর্দ্রতা সমস্যা বাড়াবে।
বুধবার থেকে উত্তরবঙ্গে হাওয়ার গতিপথ বদলে যাবে। আগামী ২৪ ঘন্টায় মালদা ও দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সতর্কতা। মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা বাড়বে এবং অস্থিরতা ফিরে আসবে। পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত পাহাড়ি এলাকা ও আশপাশের জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। আগামী শুক্রবার উত্তর আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে। এই ঘূর্ণাবর্তটি পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আন্দামানে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এটি আরও শক্তি অর্জন করে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না তা স্পষ্ট করেনি আবহাওয়া দফতর।
তবে দেশে বর্ষাকাল শুরু হচ্ছে। পশ্চিম রাজস্থান থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রত্যাহার শুরু করবে। আগামী ২৪ ঘন্টায় বর্ষা বিদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। উত্তর প্রদেশ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি অক্ষরেখা বিহার চক্র এবং উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গেছে।
বর্ষার অক্ষরেখা দক্ষিণবঙ্গের হুগলি জেলার বিকানি ও বাগতিতে গঙ্গা পর্যন্ত, কানপুর ডাল্টনগঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গ হয়ে মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। কলকাতা শহরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ দুই বা ততোধিক হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ বেশিরভাগ মেঘলা থাকবে। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা সংক্রান্ত সমস্যা ধীরে ধীরে বাড়বে। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.১ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে ৮৩ থেকে ৯৬ শতাংশ জলীয় বাষ্প থাকে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৪.৮ মিমি।
No comments:
Post a Comment