কোনটি বেশি উপকারী? সাদা রসুন না কালো রসুন?
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১০ সেপ্টেম্বর: রসুন প্রাচীনকাল থেকেই এর ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি সক্রিয় উপাদান, অ্যালিসিনের উপস্থিতির কারণে, জীবাণু মারার ক্ষমতার জন্য দায়ী। অ্যালিসিন, রসুনে উপস্থিত জৈব সালফার যৌগ, রসুনকে এর তীব্র গন্ধ দেয়।
রসুন খাদ্যকে স্বাস্থ্যকর করে। সম্প্রতি, রসুনের একটি প্রাচীন জাত বিশ্বজুড়ে বাড়ির রান্নায়, শেফদের রান্নায় এবং প্যান্ট্রিতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। রসুনের এই বিকল্পটিকে কালো রসুন বলা হয়। এটি খাবারে একটি অতিরিক্ত স্বাদ যোগ করে যা অন্য কোনও ভেষজ দিতে পারে না।
কিন্তু প্রশ্ন হলো সাদা রসুন আর কালো রসুনের মধ্যে পার্থক্য কী? আর দুটির মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী? আসুন জেনে নেই।
কালো রসুন কি?
কালো রসুন নতুন কিছু নয়। বরং এটি ফরম্যাট করা সাদা রসুন বা পুরানো সাদা রসুনের একটি নতুন রূপ। এর গন্ধ সাদা রসুনের মতো শক্তিশালী নয়। তবে এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর।
কালো এবং সাদা রসুনের মধ্যে পার্থক্য -
৬০ থেকে ৯০ দিনের জন্য উচ্চ তাপমাত্রায় তাজা কাঁচা সাদা রসুনকে গেঁজিয়ে কালো রসুন তৈরি করা হয়। যার কারণে কালো রসুন, নিয়মিত রসুনের মতো নয়। মিষ্টি এবং টক স্বাদের টেক্সচারে মোমযুক্ত বা আঠালো। কালো রসুন তার অসাধারণ স্বাদ এবং টেক্সচারের কারণে সম্প্রতি সর্বাধিক প্রচারিত পণ্যগুলির মধ্যে একটি। এটি এশিয়ান রান্নার অন্যতম প্রধান উপাদান, বিশেষ করে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায়।
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী -
সাদা রসুনে অ্যালিসিন নামক একটি পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা কালো রসুনেও প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির পাশাপাশি এটি কোলেস্টেরল এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগের জন্য খুবই উপকারী। কালো রসুন শরীরের কোষকে নিয়ন্ত্রণ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এটিতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শুধু তাই নয়, এটি আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। এছাড়াও, রসুনের গরম করার শক্তি এবং তীব্রতা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি কফ এবং বাতকে ভারসাম্যে রাখে, পিত্ত বাড়ায়। রসুনের কার্মিনেটিভ, অ্যাফ্রোডিসিয়াক এবং রেচক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি হৃৎপিণ্ড এবং চুলের জন্য একটি টনিক।
এই রসুন সাদা দাগ, চর্মরোগ, অর্শ, ডায়াবেটিস, কাশি, হাঁপানি, রাইনাইটিস এবং অন্ত্রের প্যারাসাইটের চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ঠাণ্ডা ও ফ্লু হলে ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো ও গোলমরিচ গুঁড়োর সঙ্গে রসুনের পেস্ট জলে মিশিয়ে পান করলে আরাম পাওয়া যায়। সায়াটিক ব্যথা এবং উচ্চ রক্তচাপের জন্য রসুনের সাথে ফুটন্ত দুধ পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment