রকেট বৃষ্টি! মৃত ৭০, গাজায় প্রবেশ ইসরায়েলি সেনারা
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৪ অক্টোবর : প্রতিশোধের আগুনে পুড়তে থাকা ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আকাশ ও মাটি দুই দিক থেকে হামলা চালাচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় ৭০ জন প্রাণ হারিয়েছে। হামাস আধিকারিকরা বলেছেন যে গাজা শহর ছেড়ে যাওয়া লোকজনের কনভয়গুলিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৭০ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু। এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা শহর থেকে দক্ষিণে যাওয়ার সময় তিনটি স্থানে গাড়িতে হামলা চালানো হয়। বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু কারা ছিল এবং যাত্রীদের মধ্যে সন্ত্রাসীরা ছিল কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হয়নি। শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঘনবসতিপূর্ণ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে স্থল হামলার আগে গত ২৪ ঘন্টায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্থল হামলার আগে বাসিন্দাদের শহর খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে যে প্রথমবারের মতো তাদের পদাতিক সৈন্যরা গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে এবং অভিযান চালায়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে যে তাদের সৈন্যরা হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, তাদের অস্ত্র ধ্বংস করতে এবং হামাসের হাতে বন্দী নিখোঁজ বন্দীদের বিষয়ে প্রমাণ খুঁজতে গাজায় প্রবেশ করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এই ঘোষণাকে অবশ্য গাজায় প্রত্যাশিত স্থল আক্রমণের সূচনা বলে মনে করা হচ্ছে না। গত শনিবার হামাস সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ হামলার পর থেকে গাজা সীমান্তে সৈন্য সংখ্যা বাড়াচ্ছে ইসরাইল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা শহরে বসবাসকারী প্রায় ১০ লাখ মানুষকে সেখান থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশের পর ওই এলাকায় ইসরায়েলের স্থল অভিযানের সম্ভাবনা বেড়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যাওয়া মারাত্মক হতে পারে, অন্যদিকে হামাস ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এই নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং মানুষকে তাদের ঘরে থাকতে বলেছে।
শনিবার হামাস ইসরায়েলে দ্রুত বিমান হামলা শুরু করেছিল, যার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামাসের প্রধান অবস্থানগুলি লক্ষ্য করে পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ যুদ্ধের অষ্টম দিন। গাজা শহরকেও উচ্ছেদ আদেশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ নির্দেশের পর নাগরিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। শহর ছেড়ে যাওয়ার সময় মানুষ রকেটের শিকার হয়েছে বলে অনুমান করা হয়।
No comments:
Post a Comment