গান্ধীজিকে দেবতার মতো পূজো করে এই জায়গার মানুষ
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৮অক্টোবর : ২রা অক্টোবর পালিত হয় গান্ধী জয়ন্তী। স্বাধীনতা সংগ্রামে মহাত্মা গান্ধীর ভূমিকা বহু প্রজন্ম মনে রাখবে। বাপু এবং অনেক সাহসী ছেলের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই দেশ ব্রিটিশদের কবল থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছে। জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা।
হাজার হাজার মানুষ গান্ধীজিকে তাদের আদর্শ মূর্তি মনে করে কিন্তু এমন একটি জায়গা আছে যেখানে বাপুকে দেবতার মতো পূজো করা হয়, মন্দিরে গান্ধীজির মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। আসুন তাহলে জেনে নেই গান্ধী জয়ন্তীতে তাঁর এই অনন্য মন্দিরের বিশেষত্ব সম্পর্কে-
মহাত্মা গান্ধীর এই মন্দিরটি ম্যাঙ্গালুরুর শ্রী ব্রহ্মা বৈদরকালা এলাকার গারোদিতে নির্মিত। মহাত্মা গান্ধীর অনুগামীরা এই মন্দিরে সকাল ৬টা, দুপুর ১২টা এবং সন্ধ্যা ৭:৩০ টায় তিনবার তাঁর পূজো করেন। এর পাশাপাশি গান্ধীজির মূর্তির কাছে প্রতিদিন একটি করে প্রদীপ জ্বালানো হয়।
১৯৪৮ সালে, এখানে গান্ধীজির একটি মাটির মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। এরপর ২০০৬ সালে মার্বেল মূর্তিটি স্থাপন করা হয়। মহাত্মা গান্ধীর অনুসারীরা এই মন্দিরে আসেন এবং তাঁর দেখানো পথে (সত্য ও অহিংসা) অনুসরণ করার শপথ নেন। গান্ধী জয়ন্তীর দিন এই মন্দিরে একটি বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়, যাতে ফল এবং মিষ্টি ছাড়াও বাপুকে ব্ল্যাক কফি দেওয়া হয়। পরে তা মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
বিশ্বাস করা হয় যে গান্ধীজি যখন ওয়ার্ধায় বসবাস শুরু করেছিলেন, তখন একজন জাপানি বৌদ্ধ সন্ন্যাসী প্রার্থনার আগে তাঁর কিছু মন্ত্র পাঠ করতেন। বাপু তাঁর স্মরণে তাঁর প্রার্থনায় একটি বৌদ্ধ মন্ত্র অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, যা তিনি প্রতিদিন উচ্চারণ করতেন:
হরিঃ ওম
ঈশাবস্যম্ ইদম সর্বম্।
ইয়াত কিন চ জগতয়ন জগৎ
দশ তৈৎকেন ভুঞ্জিথা
মা গ্রিদ্ধম কস্যস্বিদ ধনম্।
No comments:
Post a Comment