১৩ সেপ্টেম্বর নিয়ে কেন চাপে ছিলেন বিজ্ঞানীরা?
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক,১৬অক্টোবর : ১৩ সেপ্টেম্বরের রাতটি ছিল পৃথিবীর জন্য খুব ভয়ঙ্কর। প্রতিমুহূর্তে বিপদ তার দিকে এগিয়ে আসছিল। সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ যখন তাদের ঘরে ঘুমাচ্ছিল, তখন ISRO, NASA সহ সারা বিশ্বের মহাকাশ সংস্থাগুলি আকাশের দিকে চোখ রাখছিল। এমতাবস্থায়, আকাশ থেকে কী আসছে তা নিয়ে বড় প্রশ্ন ছিল গোটা বিশ্বের মহাকাশ সংস্থাগুলি? চলুন জেনে নেই-
এই মহাবিশ্বে কেবল আমাদের পৃথিবী নয়, এর সঙ্গে রয়েছে অনেক গ্রহ, গ্যালাক্সি এবং নক্ষত্র। একই সঙ্গে মহাকাশে প্রচুর পরিমাণে উল্কাপিন্ড অর্থাৎ গ্রহাণুও ভেসে বেড়াচ্ছে। এরকম একটি গ্রহাণু ১৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর খুব কাছ থেকে চলে গেছে। বিজ্ঞানীরা এর আগে জানতে পেরেছিলেন, কিন্তু তারা তা থামাতে পারেননি। এটি এত দ্রুত গতিতে আসছিল যে এটি যদি পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খেত তবে এটি সম্ভবত এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হত।
এই গ্রহাণুটি খুব বড় ছিল না। এর আয়তন ছিল মাত্র ১৮০ ফুট। কিন্তু এর গতি এতটাই ছিল যে এটি রকেটের মতো পৃথিবীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। এই গ্রহাণুর নাম দেওয়া হয়েছিল ২০২৩ RH২। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গ্রহাণুটি সূর্যের চারপাশে তার কক্ষপথে ঘণ্টায় ৭৭৩০৩ কিলোমিটার বেগে ভ্রমণ করছে। যখন এটি পৃথিবীর কাছাকাছি চলে যায় তখন এর দূরত্ব ছিল প্রায় ৪.৩ মিলিয়ন কিলোমিটার। তবে তা সত্ত্বেও মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে চিন্তিত ছিলেন।
প্রকৃতপক্ষে, বিশ্বজুড়ে মহাকাশ সংস্থাগুলির কাছে বড় এবং অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ রয়েছে, এই বিজ্ঞানীদের সাহায্যে তারা পুরো আকাশে নজর রাখে এবং নতুন তারা আবিষ্কারের পাশাপাশি গ্রহাণুর দিকেও নজর রাখে। এই কারণেই যখনই কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে চলেছে, বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই জানতে পারেন এবং লোকেরা সতর্ক হয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment