পোষা কুকুর থেকে জলাতঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা কতটা?
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,০৪অক্টোবর: আজকাল পোষা কুকুর বাড়িতে রাখা খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবনের একাকীত্ব কাটিয়ে উঠতে বা শিশুদের দায়িত্ব শেখানোর জন্য অনেকেই পোষা কুকুর পালন করেন। পোষা কুকুর তাদের মালিকের প্রতি খুবই অনুগত । কিন্তু একটি পোষা কুকুর জলাতঙ্কের মতো মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। তাই পোষা কুকুরের যত্ন না নিলে আমাদের জীবন বিপন্ন হয়ে যেতে পারে। তাই পোষা কুকুর পালন করার সময় আমাদের নিশ্চিত হওয়া উচিৎ যে তারা জলাতঙ্ক রোগ থেকে নিরাপদ এবং আমাদের জন্য হুমকি পূর্ণ নয়।
জলাতঙ্ক একটি রোগ যা পশুর লালার মাধ্যমে ছড়ায়। সংক্রমিত পশুর লালা মানুষের রক্তের সংস্পর্শে এলে ভাইরাস ছড়ায়। এই ভাইরাসগুলি কোনও প্রাণীর কামড় বা পোষা প্রাণীর ক্ষত এবং আঘাত চাটার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির রক্তে পৌঁছে যায়। তাই পোষা কুকুরের জন্য জলাতঙ্কের টিকা নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলাতঙ্কে আক্রান্ত কুকুরের মধ্যে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা যায় যেমন অতিরিক্ত উত্তেজনা এবং আগ্রাসন, লালা, ঘেউ ঘেউ-চিৎকার, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন ইত্যাদি। তাই পোষা কুকুরকে নিয়মিত জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া প্রয়োজন যাতে তারা জলাতঙ্ক থেকে রক্ষা পায় এবং তাদের আশেপাশের মানুষদেরও জলাতঙ্ক থেকে রক্ষা করা যায়।
এই জলাতঙ্কের কিছু লক্ষণ কয়েক বছর পরেও দেখা দেয়। জলাতঙ্ক একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক রোগ যেখানে ভাইরাস শরীরের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। জলাতঙ্ক মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে,আর তাই এর কিছু লক্ষণ কয়েক বছর পরেও দেখা দিতে পারে, যেমন:
পেশীর দূর্বলতা
বক্তৃতায় সমস্যা
মুখের পেশী ক্র্যাম্প
মানসিক সমস্যা
তাই সঠিক সময়ে জলাতঙ্কের চিকিৎসা করানো খুবই জরুরি। জলাতঙ্ক প্রতিরোধের একমাত্র উপায় টিকা।
No comments:
Post a Comment