বাসমতি চাল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত সরকারের, লাভবান হবেন কৃষকেরাও
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৫ অক্টোবর: বাসমতি চাল ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তির খবর। বাসমতি চালের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বলা হচ্ছে, সরকার বাসমতি চালের ফ্লোর প্রাইস কমিয়ে ৯৫০ ডলার প্রতি টন করতে পারে। এতে চাল রপ্তানিকারকরা অনেক লাভবান হবেন। উল্লেখ্য বর্তমানে বাসমতি চালের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ১২০০ ডলার প্রতি টন।
আসলে, সোমবার বাসমতি চাল রপ্তানিকারক ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের মধ্যে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাসমতি চাল রপ্তানিকারকদের দাবীর প্রেক্ষিতে ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে চাল রপ্তানিকারকরা জানান, ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বেশি হওয়ায় বিদেশে ভারতীয় চাল রপ্তানি কমে গেছে। এমতাবস্থায় চাহিদা মেটাতে পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক বাজারে শক্ত অবস্থান অর্জন করছে, কারণ এর দাম ভারতের বাসমতি চালের চেয়ে অনেক কম।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি বাসমতি চাল উৎপাদনকারী কৃষক ও রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা। তারা আশা করছেন, ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য কমিয়ে বিশ্ববাজারে বাসমতি চালের চাহিদা বাড়বে। এমতাবস্থায় ভারত থেকে বাসমতি চালের রপ্তানিও বাড়বে, যার সরাসরি লাভ হবে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের। প্রসঙ্গত, ২৫ আগস্ট, কেন্দ্র বাসমতির ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে ১২০০ ডলার প্রতি টন করেছিল। এতে চাল রপ্তানিকারকরা খুবই অস্বস্তিতে ছিলেন, কারণ রপ্তানি কমে গিয়েছিল।
২৫ সেপ্টেম্বর, যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ব্যবসায়ীদের প্রতি টন ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮৫০ ডলারে কমিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু, ১৪ অক্টোবর আবারও রপ্তানিকারকদের আশা ভঙ্গ হয়। চালের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য প্রতি টন ১২০০ ডলারে অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু ২৩ অক্টোবরের বৈঠকে ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এমন পরিস্থিতিতে কয়েকদিনের মধ্যে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি কৃষকদের আয়ও বাড়বে।
No comments:
Post a Comment