বাটলা হাউস এনকাউন্টারে আদালতের বড় সিদ্ধান্ত! ফাঁসি হবে না সন্ত্রাসী আরিজ খানের
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১২ অক্টোবর : বাটলা হাউস এনকাউন্টার সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার দিল্লী হাইকোর্ট বড় সিদ্ধান্ত দিল। দিল্লী পুলিশের ইন্সপেক্টর মোহন চাঁদ শর্মার হত্যাকারী সন্ত্রাসী আরিজ খানের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
২০০৮ সালে, দিল্লীর বাটলা হাউস এলাকায় পুলিশ এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে এনকাউন্টার হয়েছিল। বিচারিক আদালত আরিজকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল এবং অমিত শর্মার বেঞ্চ খানকে দোষী সাব্যস্ত করার ট্রায়াল কোর্টের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে, কিন্তু মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেনি। আরিজ খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট। এই মামলায় শুনানি শেষ করে অগাস্টে রায় সংরক্ষিত রেখেছিল বেঞ্চ।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮-এ, দিল্লী পুলিশের স্পেশাল সেল অফিসার মোহন চাঁদ শর্মা দিল্লীর জামিয়া নগরে পুলিশ এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় নিহত হন। দিল্লীতে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের পাঁচ দিন পরে যে এনকাউন্টার হয়েছিল তাতে দুই সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছিল। বিস্ফোরণে ৩৯ জন নিহত এবং ১৫৯ জন আহত হন। বিস্ফোরণে জড়িত সন্ত্রাসীদের খোঁজে বাটলা হাউসে পৌঁছেছিলেন শর্মা।
ট্রায়াল কোর্ট, ৮ মার্চ, ২০২১ সালে আরিজ খানকে দোষী সাব্যস্ত করার সময় বলেছিল যে আরিজ খান এবং তার সহযোগীরা পুলিশ অফিসারকে গুলি করে এবং তাকে খুন করেছিল। আদালত বলেছিল, 'এই অপরাধটি বিরল ক্যাটাগরিতে পড়ে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিৎ। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ২০২১ সালের ১৫ মার্চ, আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং ১১ লাখ টাকা জরিমানাও করে। পুলিশ অফিসারের পরিবারকে ১১ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছিল।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর তা হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ট্রায়াল কোর্ট যখন একজন অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেয়, তখন হাইকোর্ট সিদ্ধান্তটি যাচাই করে। সাজা কার্যকর করার আগে উচ্চ আদালতের সিলমোহর প্রয়োজন।
No comments:
Post a Comment