পুরা মতে ভূত চতুর্দশী কেন পালন করা হয়?
কলকাতা: ভূত চতুর্দশী বাংলার ঐতিহ্যের একটি অংশ। প্রতি বছর কার্ত্তিক মাসের দীপান্বিতা অমাবস্যার আগের দিন পালন করা হয় এদিন চৌদ্দ শাক খাওয়া ও সন্ধ্যায় চৌদ্দ প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে। কিন্তু কেন পালন করা হয় ভূত চতুর্দশী? জেনে নেওয়া যাক এর পেছনের পৌরাণিক কাহিনী।
ভূত চতুর্দশী পালন নিয়ে প্রচলিত কাহিনী -
ভূত চতুর্দশী নিয়ে নানাবিধ গল্প প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল-দানব রাজ বলি একসময় নিজের ক্ষমতায় স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল জয় করেন। বলি নিজে ছিলেন শিবের ভক্ত। তাঁকে আটকাতে ভগবান বিষ্ণুর কাছে যান সকল দেবতা। তখন ভগবান বিষ্ণু বামন অবতার ধারণ করেন এবং এই অবতারে তিনি রাজা বলির কাছে তিন পা জমি প্রার্থনা করেন।
দানবরাজ বলি ভগবান বিষ্ণুকে চিনতে পারলেও রাজি হয়ে যান। তখন বামন অবতার রূপে ভগবান বিষ্ণুর স্বর্গ ও মর্তে পা রাখেন এবং তাঁর নাভি থেকে বের হয় আরেকটি পা। তখন ভগবানের পা নিজের মাথায় রাখেন বলি। দানবরাজ হলেও ভগবানের প্রতি শ্রদ্ধার কারণে ভগবান তাঁকে আশীর্বাদ দেন এবং বলেন এই দিন মর্তে লোকে তাঁকে পুজো করবে।
মান্যতা রয়েছে, এই দিন রাজা বলি ও তার সমস্ত ভূত-প্রেত সঙ্গীদের নিয়ে মর্তে আসেন এবং ঘোর অন্ধকার রাতে ভূতের উপদ্রব থেকে নিজেদের দূরে রাখতে জ্বালানো হয় ১৪ টা প্রদীপ। এর পাশাপাশি প্রকৃতি থেকে চৌদ্দ রকম শাক জোগাড় করে খেয়ে প্রকৃতিকে বিলীন হয়ে যাওয়া আত্মাদের আত্মিক তুষ্টি করা হয়।
No comments:
Post a Comment