ঐন্দ্রিলাকে ছাড়া কেমন কাটছে সব্যসাচীর দুর্গাপুজো? মুখ খুললেন অভিনেতা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 25 October 2023

ঐন্দ্রিলাকে ছাড়া কেমন কাটছে সব্যসাচীর দুর্গাপুজো? মুখ খুললেন অভিনেতা




ঐন্দ্রিলাকে ছাড়া কেমন কাটছে সব্যসাচীর দুর্গাপুজো? মুখ খুললেন অভিনেতা



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৫ অক্টোবর: বামাক্ষ্যাপা হয়ে গোটা বাংলার মন জয় করে নিয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরী । মহাপীঠ তারাপীঠ শেষ হওয়ার পর অনেকটা সময় কেটেছে। ব্যক্তিগত জীবনের ঝড়ঝাপটা সামলে আবারও ছোটপর্দায় সব্যসাচী। কিন্তু আজ থেকে ১১ মাস আগে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যু প্রেমিক সব্যসাচীর জীবনে সব ওলট পালট করে দেই। চলুন আজকে জেনে নেবো এই কয়েকমাসে অভিনেতার জীবনে কী কী পরিবর্তন হয়েছে।


ঝুমুর ধারাবাহিকের মাধ্যমে টেলিভিশনে পা রাখেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। এই ধারাবাহিকে তার বিপরীতে ছিলেন সব্যসাচী। সেখান থেকেই তাদের বন্ধুত্ব ও পরে তা পরিণত হয় গভীর সম্পর্কে। তাদের দুজনের সম্পর্কের গভীরতা এতটাই ছিলো যে ঐন্দ্রিলা যতবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ততবারই তার পাশে ছায়ার মত থেকেছে সব্যসাচী। যদিও সেই রোগের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হতে পারেনি অভিনেত্রী।


গত বছরও একসঙ্গে পুজো কাটিয়েছেন সব্যসাচী আর ঐন্দ্রিলা। কিন্তু ২০২২ এর ভাইফোঁটার পরেই সব শেষ হয়ে যায়। ১ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন ঐন্দ্রিলা। তারপরেই দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ২০ নভেম্বর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আর এতেই ভেঙে পরেন সব্যসাচী। নিজেকে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে সরিয়ে নেন। তবে আবার তিনি কাজে ফিরেছেন। স্টার জলসার রামপ্রসাদ ধারাবাহিকে মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।


তবে ঐন্দ্রিলাকে যে তিনি আজও ভুলতে পারেননি সেটা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন,”একটা মানুষ চলে গেলেও সেই মানুষটা কোনও কোনও অংশে রয়ে যায়। এই বিষয়টা প্রত্যেকে নিজেদের মতো করে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। নিজেদের মতো করে শোক কাটিয়ে ওঠেন। আমিও আমার মতো করে পরিস্থিতি সামলাচ্ছি। আমি একই আছি। এ বছর যে খুব বেশি ফারাক হয়েছে তা নয়।


তবে ঐন্দ্রিলা মারা যাওয়ার পর আগের থেকে অনেক বেশি চুপচাপ হয়ে গেছেন। বলা যেতে পারেন একপ্রকার তিনি অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি বরাবরই অন্তর্মুখী। বেশি কথা বলি না। কিন্তু এটা ভাবতে শুরু করলে তো কিছুই করা যাবে না! এখনও তো স্টুডিয়োয় কাজ করতে আসি। এই স্টুডিয়োপাড়াতেই ওর সঙ্গে আমার দেখা। তা বলে কি আমি কখনও স্টুডিয়োপাড়াতে আসব না? কখনও কাজ করব না? সেটা তো আমি করছি।


এরপরেই তিনি বলেন, যদি বলি স্টুডিয়োয় আসতে আমার সমস্যা হচ্ছে না কিন্তু সল্টলেকের ক্যাফেতে গেলে সমস্যা হচ্ছে, তা হলে তো সেটা ভণ্ডামি হয়ে যায়! এ রকম হয় না কখনও। কারণ ওর সঙ্গে আমি সল্টলেকের ক্যাফেতেও আগের বার পুজো কাটিয়েছি। আসলে পুজো একই থাকে। কিছু কিছু জিনিস পাল্টে যায়। সে সব মানিয়ে নিয়েই পুজো চলবে। বাবার কাছে তার ছোটবেলার পুজোর গল্প শুনি। বাবাও তো স্মৃতিরোমন্থন করেন। সেই দিনগুলোও তো ছিল। এখন আর নেই। কিন্তু পুজো পুজোর মতো হয়ে চলেছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad