গর্ভাবস্থায় যত্ন নিন দাঁত ও মাড়ির
প্রেসকার্ড নিউজ,হেল্থ ডেস্ক,২৯ অক্টোবর: গর্ভাবস্থায় শরীরে হরমোনের মাত্রায় অনেক পরিবর্তন হয়।যার কারণে দাঁত ও মাড়িও আক্রান্ত হয়।দাঁত হলুদ হয়ে যাওয়া,প্লাক জমে যাওয়া এবং দাঁত দুর্বল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।অনেক সময় দাঁতের রং বাদামীও হয়ে যায়।অনেক মহিলার ক্ষেত্রে সন্তান জন্মের পরও এই সমস্যা থেকে যায়।দাঁতের মতো মাড়ির সমস্যাও গর্ভাবস্থায় বাড়তে পারে।সেজন্য দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে গর্ভবতী মহিলাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা উচিৎ।
দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে গর্ভাবস্থায় যা করবেন:
ক্যালসিয়ামের ডোজ বাড়াতে হবে -
গর্ভাবস্থায় দাঁত সুস্থ ও মজবুত রাখতে বেশি বেশি ক্যালসিয়াম গ্রহণ করুন।যেহেতু গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা বেশি থাকে,তাই মহিলাদের ক্যালসিয়াম সম্পূরক গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড়কে শক্তিশালী করে এবং ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
দিনে দুবার ব্রাশ করতে হবে -
দিনে দুবার ব্রাশ করলে দাঁতের পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া যায়।তাই সকালে ব্রাশ করার পাশাপাশি রাতে ঘুমানোর আগেও ব্রাশ করুন।এর পাশাপাশি,যখনই কিছু খাবেন,মুখ ভালো করে পরিষ্কার করবেন।গার্গল করতে ভুলবেন না।এর সাথে দাঁত ফ্লস করুন।ফ্লসিং আপনার দাঁতের মাঝে আটকে থাকা ময়লা দূর করবে।
কম ফ্লোরাইড যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে -
বেশিরভাগ টুথপেস্টেই ফ্লোরাইড থাকে।এটি দাঁতের জন্য একটি উপকারী উপাদান।কারণ,এটি দাঁতের শিকড়কে শক্তিশালী করে এবং গহ্বর সৃষ্টি করে না।তবে অতিরিক্ত পরিমাণে ফ্লোরাইডের কারণে দাঁতে দাগ পড়ে।তাই এমন টুথপেস্ট ব্যবহার করুন যাতে ফ্লোরাইডের পরিমাণ কম থাকে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে -
গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলার মিষ্টি,টফি এবং চকোলেট খাওয়ার খুব ইচ্ছা হয়ে থাকে।কিন্তু মুখে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া চিনিকে অ্যাসিডে পরিণত করে যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর।একইভাবে ময়দার তৈরি খাবার খেলেও দাঁতের ক্ষতি হয়।অতএব,ডায়েটে ময়দা এবং চিনির মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন।
এগুলি ছাড়াও,দাঁতের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখুন এবং নিয়মিত দাঁত পরীক্ষা করান।যাতে দাঁতে কোনও ধরনের সমস্যা থাকলে সময়মতো চিকিৎসা করা যায়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment