'ভাইয়ের শ্রাদ্ধে যেতে দেওয়া হয়নি, বার বার হেনস্থা!' সিবিআই হানায় ক্ষোভ ফিরহাদের
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ০৮ অক্টোবর: টানা সাড়ে ন'ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় সিবিআই। এতে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন ফিরহাদ হাকিম। সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান, পৌরসভার নিয়োগের কোনও ফাইল মন্ত্রীর কাছে আসে না। তাহলে বার বার তাঁকে এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে কেন, প্রশ্ন তোলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ভাইয়ের শ্রাদ্ধে যেতে না দিয়ে, তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফিরহাদ।
পৌরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রবিবার সকালে তাঁরা চেতলায় ফিরহাদের বাড়িতে পৌঁছন। তার পর দীর্ঘ সাড়ে ন'ঘন্টা ধরে চলে তল্লাশি। সিবিআই বেরিয়ে যাওয়ার পরই ফিরহাদের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী জানান, তাঁর বাবাকে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। এর পর সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ উগরে দেন ফিরহাদ।
সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই এদিন গর্জে ওঠেন ফিরহাদ। বলেন, "বাংলার মানুষকে, চেতলার মানুষকে প্রশ্ন করব আমি। এই চেতলায় জন্মেছি, বড় হয়েছি, চেতলার মানুষ আট-আট বার বিপুল ভোটে জয়ী করেছেন আমাকে, কাউন্সিলর, বিধায়ক হয়েছি। অনেক দিন হয়েছে বাংলার রাজনীতিতে। তাই আমি প্রশ্ন করছি, আমি কি চোর? আমি কি চুরে করেছি? বার বার করে কেন এই হেনস্থা? বিজেপি-র মতাদর্শের সামনে মাথানত করব না, ওদের খাতায় গিয়ে নাম লেখাব না, তাই আমাকে হেনস্থা, আমার পরিবারকে হেনস্থা। কখনও গ্রেফতার করে নিয়ে চলে যাচ্ছে, কখনও সারাদিন ধরে বাড়িতে তল্লাশি। আজ আমার ভাইয়ে শ্রাদ্ধ, সেখানে যেতে দেওয়া হল না। কী অপরাধ করেছি?"
ফিরহাদ আরও বলেন, "ছোটবেলা থেকে চেতলার মানুষদের সামনে বড় হয়েছি। কোনও রকমে ব্যবসা দাঁড় করিয়েছি, যার যখন দরকার পড়েছে, পাশে দাঁড়িয়েছি, সেটাই কি আমার অপরাধ? কেন বার বার করে হেনস্থা! আইন অনুযায়ী, পৌরনিয়োগের সঙ্গে পৌর মন্ত্রীর কী সম্পর্ক? পৌরনিয়োগের কোনও ফাইল কি মন্ত্রীর কাছে আসে? আইন এবং নিয়ম, কোনও ভাবেই হয় না। তাহলে কেন বার বার করে এই হেনস্থা।"
তিনি বলেন, "যারা চাকরি দিয়ে টাকা নেয়, তাদের কীট বলে মনে করি। এর চেয়ে নিজের মায়ের মাংস খাওয়া ভালো। আমি বামফ্রন্ট আমলেও লড়াই করেছি। মামলাও হয়েছে। দাঙ্গা, মারপিট, বাধা সৃষ্টির মামলা দায়ের হয়েছে। এই অপমান হয়নি। বাড়ির লোকজনকে জড়ানো হয়নি। নিশ্চিত ভাবে মার খেয়েছি, হাসপাতালে গিয়েছি। কিন্তু এই অপমান হয়নি।"
No comments:
Post a Comment