পরিবর্তন আনুন দৈনন্দিন জীবনে
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১৫ অক্টোবর: আপনার দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন আনুন। যেমন- বেশি করে জল পান করুন। সারা দিনে ১৫ গ্লাস জল প্রয়োজন, যার মধ্যে ১০ গ্লাস জল সন্ধ্যা ৭ টার আগে পান করা উচিৎ। রাতে জল কম পান করুন ।
আপনি যখনই সকালে ঘুম থেকে উঠবেন, ১ গ্লাস সাধারণ জল পান করুন। ফ্রেশ হওয়ার পর, ১ গ্লাস হালকা গরম জলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে পান করুন। এটি হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াবে।
সকালে হালকা গরম জল পান করলে অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দূর হয়।
হালকা গরম জল পানের ৩০ মিনিট পর চা বা কফির সাথে ২ টি বিস্কুট খান। চায়ের সাথে সব সময় কিছু না কিছু খাবেন, এতে অ্যাসিডিটি হয় না। এছাড়াও দিনে ২ বারের বেশি চা বা কফি পান করবেন না।
প্রতিদিনের রুটিনে সকালের খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটি কখনই এড়িয়ে যাবেন না। এতে আপনি পোহা, ওটস, উপমা, হুইট ফ্লেক্স ইত্যাদির যেকোনও একটি খেতে পারেন। পাশাপাশি ১ গ্লাস দুধ বা জুস বা বাটারমিল্ক বা যেকোনও একটি মরসুমি ফলকে আপনার প্রাতঃরাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ করতে পারেন।
দুপুরের খাবারের ১০ মিনিট আগে ১ গ্লাস জল পান করুন। দুপুরের খাবারে বেশি করে স্যালাড, দই এবং সবজি রাখুন। আপনার ক্ষিদের তুলনায় একটু কম খাওয়ার চেষ্টা করুন, যদি আপনি চারটি রুটি খেয়ে থাকেন, তবে তিনটি খান।
আপনি যদি জোয়ারের রুটি খেতে পারেন তবে খুব ভালো হবে। এতে চিনির পরিমাণ কম থাকে তাই এটি গমের চেয়ে ভালো।
খাবারের মধ্যে জল পান করবেন না, এটি হজম নষ্ট করে। এমনকি খাওয়া শেষ করার সাথে সাথেই খুব বেশি জল পান করবেন না, মাত্র দুই চুমুক জল পান করুন এবং ৩০ মিনিট পর ১ গ্লাস জল পান করুন।
ফ্রিজ এবং ওয়াটার কুলারের ঠান্ডা জল থেকে দূরে থাকুন। আপনি যদি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওজন কমাতে চান, তাহলে সারা দিন হালকা গরম জল পান করুন।
সন্ধ্যায় চা বা কফির সাথে বিস্কুটও খান। এছাড়াও হালকা কিছু নিন, যেমন- মুড়ি, ভেল, কালো ছোলা বা জুস বা বাটার মিল্ক। সন্ধ্যার খাবারের কারণে আপনি রাতের খাবারের সময় খুব ক্ষুধার্ত বোধ করবেন না, যার কারণে আপনি কম খাবারে কাজ চালাতে পারবেন।
রাতের খাবারের ১০ মিনিট আগে ১ গ্লাস জল পান করুন । স্যালাডকেও অগ্রাধিকার দিন। এটি হজমশক্তি উন্নত করে।
একজন ব্যক্তির শরীরের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় রাতের খাবারের কারণে। রাতে দেরি করে রিচ ফুড খেলে অনেক সমস্যা হয়। রাতে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। খাওয়ার পরপরই ঘুমাবেন না।
রাত ৮ টার মধ্যে আপনার ডিনার করার চেষ্টা করুন। আপনি যদি গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন, তাহলে রাতে ক্ষিদে লাগলে ফলের স্যালাড খেতে পারেন। রাতে তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়ার অভ্যাসের কারণে খাবার ঠিকমতো হজম হয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment