শিশুদের জেদ আয়ত্বে আনুন এভাবে
প্রদীপ ভট্টাচার্য, ২১শে অক্টোবর, কলকাতা: আপনার বাচ্চা কি খুব জেদ করে? কিভাবে আপনার বাচ্চার জেদ কমাবেন ভেবে পাচ্ছেন না ? আপনার বাচ্চা কি যেখানে সেখানে জেদ ধরে বসে? পছন্দের কোনো জিনিসপত্র না পেলে হাত পা ছুড়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেয় বা সামনে যা পায় তাই ভেঙে ফেলে?
এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল যা আপনার বাচ্চার জেদ কমাতে সাহায্য করবে।
বাচ্চারা কাঁদবে, দুষ্টুমি করবে, জেদ করবে, চিৎকার করবে-এগুলি খুব সাধারণ ব্যাপার। তবে বাচ্চাদের শান্ত করাও খুব একটা সহজ কাজ নয় বাবা মা বা পরিবার-পরিজনদের কাছে। এখনকার দিনে দেখা যায় বাবা-মা বাচ্চাদের শান্ত করতে টিভিতে কার্টুন চালিয়ে দেন বা স্মার্টফোনের মত কিছু গ্যাজেট তাদের হাতে ধরিয়ে দেন। কিন্তু এইভাবে বাচ্চাদের শান্ত করা খুব একটা ভালো পদ্ধতি নয়, এর ফলে বাচ্চার টিভির প্রতি বা মোবাইলের প্রতি আসক্তি দিনদিন বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে তিন থেকে সাত বছরের বাচ্চাদের মধ্যে জেদ নামক জিনিসটা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এই সময় যদি সঠিকভাবে শিশুদের চালনা করা না যায়, তাহলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এই সময় বিশেষ করে নেগেটিভ কোয়ালিটি বেড়ে যায় যা তার ও পরিবারের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই অভিভাবকদের জন্য রইল সেরা কয়েকটি টিপস।
প্রথমতঃ জেদ ধরলে বকাবকি করবেন না। সন্তানের জেদ সামলানোর জন্য বাবা-মায়ের বকাবকি বা মারধরের প্রয়োজন নেই। বাবা মায়ের ধৈর্য এবং পেশেন্স এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের একই ধরনের পজিটিভ পদ্ধতি মেনে চললে সমস্যা দূর হবে।
দ্বিতীয়তঃ মনোযোগ ঘোরানোর চেষ্টা করুন। সন্তান যখন জেদ করতে শুরু করবে তখন তার মন অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চেষ্টা করুন। সেই সময় বাচ্চাকে অন্য কিছু দিয়ে ভোলাবার চেষ্টা করুন। সন্তানের নিজস্ব কিছু চাহিদা থাকতেই পারে, তার মানে এই নয় যে, সে যা বলছে তাই দিয়ে দিতে হবে। এভাবে সন্তানকে কন্ট্রোল করতে শুরু করলে সেলফ কন্ট্রোলবোধ তৈরি হবে তখন সন্তানের আর কিছু চাহিদা থাকবে না।
তৃতীয়তঃ নিজেকে শান্ত রাখুন। জেদ সামলানোর প্রাথমিক উপায় অভিভাবকদের মনকে শান্ত রাখতে হবে। প্রথম থেকেই যদি সন্তানদের জিনে লাগাম দেওয়া হয় তাহলে আপনার শিশুর বহু সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কেউ কেউ জেদ সামলানোর জন্য সন্তান যা চাইছেন তাই দিয়ে দেন, এতে সমস্যা আরো বেড়ে যায় বরং আপনি যদি নিজেকে শান্ত রেখে শিশুকে সামলান তাহলে সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে।
No comments:
Post a Comment