বক্সার ট্রেন দুর্ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্র? অনেক জায়গায় ভাঙা ট্র্যাক, উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন রেলওয়ের
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১২ অক্টোবর : দিল্লীর আনন্দ বিহার টার্মিনাল থেকে কামাখ্যাগামী নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনের দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই, রেলওয়ে বোর্ড দুর্ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেয়, যার পরে আধিকারিকদের একটি দল বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে কিছু জায়গায় রেললাইন ভাঙা পাওয়া গেছে। আধিকারিকরা এখনও ট্র্যাক ভাঙ্গার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে নাকি ঘটনার পরে এই ট্র্যাকগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তা বলতে এড়িয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কারিগরি ত্রুটি থাকলে, ট্র্যাকে বাধা থাকলে বা ট্রেন যাওয়ার আগেই ট্র্যাক ভেঙে গেলে এই সব পয়েন্টে একযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত তদন্তে জানা গেছে যে নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস বক্সার ছাড়ার নয় মিনিট পরে ট্র্যাকে বিধ্বস্ত হয়েছিল। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটি ঘন্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে চলছিল। এ কারণেই দুর্ঘটনার পর ট্রেনের দু-একটি বগি ছাড়া প্রায় সব বগিই আপ লাইনের ট্র্যাকের ওপরে পড়ে যায়। সৌভাগ্য যে সেই সময় আপ লাইন দিয়ে কোনও ট্রেন যাওয়ার সময় ছিল না, নইলে রঘুনাথপুরের কাছে বালাসোরের মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এমতাবস্থায় গার্ড ও চালক সতর্কতা দেখিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে রেলওয়ে নিয়ন্ত্রণকে অবহিত করেন। এরপর আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। তদন্ত করতে আসা আধিকারিকরা দেখতে পান যে দীর্ঘ দূরত্বে রেললাইন ভেঙে গেছে। রেলের আধিকারিকরা আপাতত এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সিপিআরও বীরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, রেল বোর্ড ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনাস্থলে রেল প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন ত্রাণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কিছু বলা খুব তাড়াতাড়ি। বিষয়টি তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় জোন ও রেলওয়ে বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকরা ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। এখন পুরো মনোযোগ ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে। আধিকারিক ও কর্মীরা ঘটনাস্থলে ট্রেনের বগি উঠাতে এবং রেলপথে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করতে ব্যস্ত। তিনি জানান, এ ঘটনায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর মেডিক্যাল টিম ও আধিকারিকদের সঙ্গে একটি দুর্ঘটনা ত্রাণবাহী গাড়ি পাঠানো হয়েছে। জানমালের কোনও ক্ষতি হয়নি।
No comments:
Post a Comment