বাড়িতে ঘুঘুর বাসা! কিসের ইঙ্গিত জানেন?
প্রদীপ ভট্টাচার্য, ২৫শে অক্টোবর, কলকাতা: বাড়িতে ঘুঘু পাখি এলেই তাড়িয়ে দেন? জানেন নিজের অজান্তেই কি ভয়ানক বিপদ ডেকে আনছেন! বাড়িতে গড়ে ওঠা ঘুঘুর বাসা কিসের ইঙ্গিত দেয়? দেখুন, কি বলছে বাস্তুশাস্ত্র!
প্রায়শই বাড়ির চারপাশে পাখিদের কিচিরমিচির লক্ষ্য করা যায়। তাদের আগমন ঘটে বাড়ির উঠানে কিংবা ছাদে। কেউ আসে খাবারের সন্ধানে, আবার কেউ আসে বাসা বাঁধতে। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা নিয়মিত পাখিদের খাবার খাওয়ান ফলে সেই ঝোঁকেও বাড়িতে আসে পাখির দল এবং তাদের মধ্যে অনেকেই বাড়ির ভেন্টিলেটর বা বাড়ির কোনো খুপরি বা গর্তে বাসা বেধেও চিরতরে থেকে যায়।
তবে অনেকেই আছেন যারা এই পাখিকে পছন্দ করেন না। তারা ঘুঘু দেখলেই দূর দূর করে তাড়িয়ে দেন এবং তাদের বাসা ভেঙে দেন। তাদের যুক্তি ঘুঘু পাখি ভীষণভাবে ঘর নোংরা করে এমনকি অনেকে এই পাখির বাসা বাধাকেও অশুভ বলে মনে করেন। তবে এটা কিন্তু মোটেই ঠিক নয়, বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী বাড়িতে ঘুঘুর বাসা থাকলে তা সৌভাগ্য বয়ে আনে। তাদের মত অনুসারে বাড়িতে ঘুঘু পাখির আনাগোনা বা চিলেকোঠায় বাসা তৈরি করা খুবই শুভ।
তাছাড়া এই পাখি মা লক্ষ্মীর বাহক হওয়ায় বাড়িতে ঘুঘু পাখির বাসা থাকলে তা সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসে। এমনকি পারিবারিক সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে এই ঘুঘু পাখি। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী ঘুঘু পাখিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই পাখির আগমনে কোন খারাপ সম্পর্কের উন্নতি ঘটে এবং পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা আসে।
তাই বাড়িতে ঘুঘু বাসা বাঁধলে তা না ভেঙে বরং ঘুঘু বাড়িতে এলে তাকে জল ও খাবার খাওয়ান। গরমকালের ছাদে একটি পাত্র ভর্তি জল রাখুন, এতে ঘুঘু পাখির পাশাপাশি অন্যান্য পাখিরাও এসে জল পান করতে পারবে।
এছাড়াও শাস্ত্রবিদদের মতে কালো কাককে ভোজন করালে শত্রু নাশ হয়। উল্লেখ্য, কাক এক চোখে দেখে। শুক্রের মত শনিরও একটিই দৃষ্টি রয়েছে, তাই শনিকে প্রসন্ন করার জন্য কাককে খাবার খাওয়ানো ভালো।
তবে পায়রাকে বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে অশুভ বলেই গণ্য করা হয় তাই বাড়িতে পায়রা না পুষে টিয়া বা অন্য কোন পাখি পোষাই শ্রেয়।
No comments:
Post a Comment