এক ক্লিকেই হতে পারেন সর্বসান্ত! ভুলেও টাচ করবেন না এই লিঙ্কে - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 26 October 2023

এক ক্লিকেই হতে পারেন সর্বসান্ত! ভুলেও টাচ করবেন না এই লিঙ্কে


এক ক্লিকেই হতে পারেন সর্বসান্ত! ভুলেও টাচ করবেননা এই লিংকে ?


প্রদীপ ভট্টাচার্য, ২৬শে অক্টোবর, কলকাতা: কিভাবে চিনবেন কোনটি আসল লিঙ্ক আর কোনটি নকল? ভুলেও ক্লিক করবেন না এই ধরনের লিংকে, তাহলেই হতে হবে সর্বসান্ত। কিভাবে পাঠানো হয় এমন সব মেসেজ? জানতে দেখুন বিস্তারিত।


প্রতিদিন নিত্যনতুন ফাঁদ তৈরি করে চলেছে হ্যাকাররা। আর সেই পাতা ফাঁদকে চিনতে না পেরে হামেশাই তাতে পা দিচ্ছেন আমজনতা। যার মধ্যে অন্যতম হলো পেশেন্স অর্থাৎ বিশাল অংকের টাকা পুরস্কার জিতেছেন বা নামী কোম্পানির দারুন অফার রয়েছে আপনার জন্য, এমন ধরনের মেসেজ বা মেল অনেকের কাছেই আসে। সেখানে দেওয়া থাকে একটা লিংক যাতে ভুলেও ক্লিক করবেন না, যদি করেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চলে যেতে পারে প্রতারকের কাছে।


কিভাবে পাঠাচ্ছে এমন মেসেজ? বিভিন্ন bank facebook instagram gmail এ বিভিন্ন সংস্থা লগ ইন পেজের মত ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্যবহারকারীদের কাছে মেসেজ পাঠায় প্রতারকেরা। যদি কেউ সেসব ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন তাহলে ঐ ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে ঢুকে যায় ম্যালওয়্যার, যার মাধ্যমে হ্যাকাররা সেইসব ডিভাইসের অ্যাক্সেস পেয়ে যায়। অনেক সময় খেয়াল করেছেন নামিদামি কোনো সংস্থার ব্র্যান্ড বা সাইট থেকে আপনার কাছে মেসেজ বা মেইল এসেছে তাতে বিভিন্ন অফারের কথা জানানো হচ্ছে এবং সেই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে বা সেখানে জয়েন হতে কোনো লিংকে প্রবেশ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আর এইসব আপনার কাছে আসল মনে হলেও আসলে এগুলো হল হ্যাকারদের প্রতারণার ফাঁদ। সাধারণভাবে দেখলে এইসব ওয়েবসাইট একেবারে আসল ওয়েবসাইট এর মতো। খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করলে তবেই চিনতে পারবেন কোনটা আসল আর কোনটা নকল।


এবার জানিয়ে দিই কিভাবে বুঝবেন আসল ও নকলের পার্থক্য। যে ইমেইল এড্রেস বা নম্বর থেকে মেইল বা মেসেজ এসেছে সেটি যাচাই করুন, এরপর ওয়েবসাইটে ডোমেইন চেক করুন এবং ভালোভাবে খেয়াল করুন এই ওয়েবসাইটের url টি তে http. আছে কিনা এবং url এর বানানটা ঠিক আছে কিনা। কারণ ভুয়ো বা নকল ওয়েবসাইটে url বানানটা ভুল লেখা থাকে। 


ভুয়ো বা ভুল তথ্য  সনাক্তকরণের জন্য প্রথমেই দেখবেন সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা মেসেজের পাশে ফরোয়ার্ড চিহ্ন আছে কি না? কারণ বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ভুয়ো  মেসেজগুলো ফরওয়ার্ড হয়ে বিভিন্ন মানুষের মেসেজে আসে। এক্ষেত্রে  ফরওয়ার্ড হওয়া মেসেজটি যিনি পাঠিয়েছেন তিনি ঐ মেসেজটি লেখেননি। ঐ ব্যক্তিও অন্য কারো কাছ থেকে ওই ফরওয়ার্ড হওয়া মেসেজটি পেয়েছেন। তাই পরিচিত কারো কাছ থেকে ফরওয়ার্ড হওয়া মেসেজ পেলে তার সত্যতা যাচাই করুন। অনেক সময় ভুয়ো মেসেজগুলোতে বানান ভুল ও অনেক অক্ষর থাকে, যেগুলো কোনো অর্থ প্রকাশ করে না ঠিকই, কিন্তু ওই লেখাগুলো হাইপারলিং করা থাকে বলে ওগুলো ট্যাপ করলেই অন্য একটা পেজ খুলে যায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় সেখানে একটি ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত ও ব্যাঙ্কের যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। ভুল করেও সেখানে কোনো তথ্য দেবেন না। এগুলো হ্যাকারদের কাজ, তাদের এটা একটা পাতানো ফাঁদ। ওই পেজে আপনার তথ্য দিলেই হ্যাকাররা আপনার অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করতে বেশী সময় নেবে না।


তাই কোনো মেইল বা মেসেজ পেলে আগে যাচাই বা বাছাই করে তবেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad