নরকের দরজার সত্যতা!
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক,২৯ অক্টোবর : জীবিত অবস্থায় পাপ করলে মৃত্যুর পর নরকে যেতে হয়। তবে এই পৃথিবীতে এমন একটি জায়গা আছে যাকে আসলে নরকের দরজা বলা হয়। এই জায়গাটি পুরোপুরি আগুনে ঘেরা। শুধু তাই নয়,এখানকার আগুন কোনও ভাবেই নেভানো যায় না। এমনকি বিজ্ঞানীরাও এটি দেখে অনেকদিন ধরেই বিস্মিত। এখানকার ইতিহাসও বেশ মজার। তাই আজ আমরা জানবো নরকের এই দরজা সম্পর্কে-
আসলে নরকের এই দরজাটা একটা বড় গর্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। যেখানে চারিদিকে আগুন। এটি তুর্কমেনিস্তানের উত্তরে একটি বড় গর্ত, যা মরুভূমির মাঝখানে নির্মিত। একে বলা হয় নরকের দরজা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গর্ত থেকে নির্গত তাপ অনেক দূরে অনুভূত হয়। গত কয়েক বছর ধরেই এখানে আগুন জ্বলছে। মানুষ এ ব্যাপারে খুবই কৌতূহলী এমনকি নরকের এই দরজাটি দেখতেও আসে। এই গর্ত নিয়ে অনেক ধরনের তদন্তও হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে এই আগুন লেগেছে। বলা হয় যে ১৯৭১ সালে, সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূতাত্ত্বিকরা অপরিশোধিত তেলের মজুদের সন্ধান করছিলেন। এসময় তারা প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি বড় উৎসের সন্ধান পান। এখানে খননকালে মাটি তলিয়ে যাওয়ায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মিথেন লিকেজের বিপদ দেখে এখানে উপস্থিত বিজ্ঞানীরা একটি গর্তে আগুন ধরিয়ে দেন। তারা বিশ্বাস করতেন মিথেন নিঃশেষ হয়ে গেলে আগুন নিভে যাবে, কিন্তু তা হয়নি। এখন পর্যন্ত এই তত্ত্ব সম্পর্কে খুব শক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে এই গর্তে আগুন জ্বালানো নিয়ে অনেকেরই নিজস্ব ভিন্ন মতবাদ রয়েছে। কেউ কেউ একে শয়তানের বাড়ি বলে আবার কেউ কেউ বলেন বিশেষ কারণে এটি গোপন রাখা হয়েছিল। এটি একটি ব্যর্থ প্রচারণার অংশও হতে পারে। বর্তমানে এটি একটি বড় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, এই গর্তটি দেখতে সারা বিশ্ব থেকে মানুষ এখানে আসে।
No comments:
Post a Comment