৩২৯ বছরের বাড়ির দুর্গা পুজো! অষ্টমীর অঞ্জলি শেষে সৌহার্দ্যের বার্তা সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 22 October 2023

৩২৯ বছরের বাড়ির দুর্গা পুজো! অষ্টমীর অঞ্জলি শেষে সৌহার্দ্যের বার্তা সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের

 


৩২৯ বছরের বাড়ির দুর্গা পুজো! অষ্টমীর অঞ্জলি শেষে সৌহার্দ্যের বার্তা সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের




নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২২ অক্টোবর: শুরু হয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। আজ রবিবার মহাষ্টমী। পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা সকলেই। নিজের বাড়ির পুজোতে মেতে থাকতে দেখা গেল বারাসতের তৃণমূল সাংসদ ডাক্তার কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। বর্তমানে ৩০তম প্রজন্মের হাতে এখানে পূজিতা হচ্ছেন দেবী দুর্গা। ৩২৯ বছর আগে বাংলাদেশের বরিশালের গাভা গ্রামে এই পুজো শুরু হয়েছিল। শ্বশুরবাড়ির সূত্রে এই পুজো আজও নিয়ম নিষ্ঠার সাথে করছেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।

  

এদিন পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে মহা অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে দেখা যায় সাংসদকে‌। অঞ্জলি শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ, অন্যদের আঘাত না দিয়ে সবাইকে পুজোর আনন্দ করার পরামর্শ দেন। এমনকি যারা এখনও নতুন পোশাক পরতে পারেনি, তাদের নতুন পোশাক উপহার দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।


সাংসদ বলেন, "পারিবারিক পুজো, ৩২৯ বছর আগে থেকে শুরু বরিশালের গাভা গ্ৰামে এবং সেখানে সকল বাসিন্দাই ঘোষ দস্তিদার ছিলেন বলে আমি শুনেছি। এটা ৩০তম প্রজন্ম যারা এই পুজো করছেন; আমার স্বামী এবং দুই ছেলে মিলে। আমি শ্বশুর বাড়ির সূত্রে পুজোটা চালাচ্ছি, আমার শাশুড়ি মা যেভাবে শিখিয়ে গেছেন সেভাবেই করা হয়। আমার দুই ছেলের বৌ-রাও রয়েছে সঙ্গে।"


কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানান, নিয়ম মেনে আজও এই পুজোয় ঝিঙে, শশা, চালকুমড়ো বলি দেওয়ার প্রথা আছে। এছাড়াও গন্ধ লেবু, ঘি ভাতের ওপরে, তার সঙ্গে ভাজা মুগের ডাল, পাঁচ রকমের ভাজা, এক রকমের লাবড়া তরকারি, দুধের মধ্যে চাল সেদ্ধ করে চরু এবং যে কোনও আরও সবজি দিয়ে ভোগ দেওয়া হয় সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে। 


এর পাশাপাশি এদিন সকলকে মহা অষ্টমীর শুভেচ্ছাও জানান সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন, 'সবাই সুস্থ ও ভালো থাকুন, সবাই আনন্দ করুন কিন্তু অন্যকে দুঃখ দিয়ে নয়।' 'বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর মানুষ বারাসতে বাস করেন, যেমন পশ্চিমবাংলায়, মিনি ভারতবর্ষ বলা যায়। সেখানে আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, ধর্ম যার-যার কিন্তু উৎসব সবার। তাই পুজো উপলক্ষে সবাই ঘুরতে, আনন্দ করতে পারেন', সংযোজন সাংসদের। 


পাশাপাশি তিনি বলেন, 'কারও যদি নতুন জামা কেনার অর্থ না থাকে, আমি তাহলে পুজো কমিটিকে বলব এবং আমার কাছে আবেদন করলেও হবে। আমরা চাইব সবাই যেন একটা অন্তত নতুন জামা এই মহাষ্টমীতে পরতে পারে, সবাই যাতে দুমুঠো খেতে পারে, আনন্দ করতে পারে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখুন।'

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad