মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করুন নিজেকে
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১২ অক্টোবর: আজকের ব্যস্ত জীবনে মানুষের মানসিক চাপ একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা স্বাস্থ্যের উপর প্রচুর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যদি সময়মতো মানসিক চাপের চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে তা স্থায়ী বিষণ্ণতার আকারে আপনার সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনকে নষ্ট করে দিতে পারে। বিষণ্ণতার ক্ষেত্রে, প্রথমে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিৎ। এরপরে, একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার বিষণ্নতার ঝুঁকি কমাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার খাদ্যতালিকায় নির্দিষ্ট ধরনের খাবার অন্তর্ভুক্ত করে আপনি মানসিক চাপ এবং বিষণ্নতার ঝুঁকি থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেন।
আখরোট -
আখরোট বিষণ্নতার উপসর্গের চিকিৎসায় অত্যন্ত সহায়ক। কারণ এটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম সেরা উদ্ভিদ-ভিত্তিক উৎস। আখরোটে থাকা এই ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৪-৫ টি আখরোট খাওয়া আপনাকে মানসিক চাপের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে পারে।
গোটা শস্য -
গোটা শস্যের মতো উচ্চ ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট দ্রুত মুড উন্নত করতে সাহায্য করে। গোটা শস্যের মধ্যে রয়েছে বাদামী চাল, বার্লি, বাজরা, ওটস ইত্যাদি। এগুলি শরীরকে সেরোটোনিন নিঃসরণ করতে সাহায্য করে, যা একটি মস্তিষ্ক-সতেজকারী হরমোন।
হলুদ -
আপনি যদি বিষণ্ণ বোধ করেন, তবে হলুদ খাওয়া আপনার মুড তৈরি করতে পারে। হলুদে পাওয়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের শক্তি বাড়িয়ে বিষণ্নতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি -
সবুজ চা তার বিষণ্নতা প্রতিরোধের বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিচিত। গ্রিন টি-তে পাওয়া থেনাইন নামক একটি অ্যামিনো অ্যাসিড মানসিক চাপ দূর করে এবং মস্তিষ্ককে শিথিল করে।
কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য -
কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, যেমন- স্কিমড মিল্ক, দই, পনির এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, যেমন- ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-এর পাশাপাশি প্রোটিন থাকে। এর মধ্যে পাওয়া নির্দিষ্ট পেপটাইড (প্রোটিন) মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment