বাটার মিল্ক পানের শারীরিক ত্রুটি
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,০৪অক্টোবর : গ্রীষ্মের মৌসুমে বাটার মিল্ক পান স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন বি ১২ এবং খনিজগুলির মতো অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি বাটারমিল্কে পাওয়া যায়। এই সব পুষ্টি উপাদান কমাতে পারে আমাদের শরীরের অনেক সমস্যা-
তবে জানেন কী কিছু পরিস্থিতিতে বাটারমিল্ক একেবারেই পান করা উচিৎ নয়? এটা করলে আমাদের শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।আসুন জেনে নেই বাটার মিল্ক খেলে শরীরের কি কি ক্ষতি হয়-
সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে যত্ন :
যদি সর্দি, কাশি বা গলা ব্যথায় ভুগছেন তবে বাটারমিল্ক খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। বাটারমিল্কের একটি শীতল প্রভাব রয়েছে, যার কারণে সমস্যা কমার পরিবর্তে বাড়তে পারে। এ ছাড়া রাতেও বাটারমিল্ক পান করা এড়িয়ে চলুন।
কিডনি সমস্যা:
যদি কিডনি বা একজিমা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে এই অবস্থায়ও বাটারমিল্ক পান করবেন না। এটি করলে স্বাস্থ্যের অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে। কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই বাটারমিল্ক খান।
হৃদরোগী:
বাটারমিল্কে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়। হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বাটার মিল্ক খাওয়া স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয় না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদরোগীরা যদি বাটারমিল্ক পান করেন তাহলে তা কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে, যা তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
সংযোগে ব্যথা:
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায়ই হাড় সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগে অনেকে। এই সমস্যাগুলির মধ্যে রয়েছে জয়েন্টে ব্যথা, বাত এবং পেশী ব্যথা ইত্যাদি। এই ধরনের পরিস্থিতিতে বাটারমিল্ক খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। এটি জয়েন্টের ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যেতে পারে। বাটারমিল্ক পান করার আগে, ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
No comments:
Post a Comment