এই বীজে লুকিয়ে পুষ্টির ভাণ্ডার
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,২৯অক্টোবর : হালিম,গার্ডেন ক্রেস সিড নামেও পরিচিত, এটি একটি সুপারফুড যা আমরা প্রায়ই উপেক্ষা করি। এই ছোট লাল রঙের বীজ ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ হয়। হালিমের বীজে আয়রন, ফোলেট, ফাইবার, ভিটামিন সি, এ, ই এবং প্রোটিন পাওয়া যায়। আর এই সব পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য হয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই হালিমের বীজ একটি পুষ্টিকর খাবার যা আমাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। চলুন তাহলে জেনে নেই বিস্তারিত-
রক্তশূন্যতার জন্য উপকারী:
রক্তশূন্যতার চিকিৎসায় হালিমের বীজ খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। হালিমের বীজে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা রক্তাল্পতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে আয়রন, ভিটামিন সি, ফোলেট, প্রোটিন ও কপার উল্লেখযোগ্য। আয়রন হল হালিমে পাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে রক্তাল্পতার চিকিৎসায় সাহায্য করে। ভিটামিন সি আয়রন শোষণে সাহায্য করে। ফোলেট RBC এর উৎপাদন বাড়ায় যা রক্তাল্পতা নিরাময় করে। প্রোটিন হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। কপার আয়রন শোষণেও সাহায্য করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে রক্তশূন্যতার রোগীরা উপকারের জন্য হালিমের বীজ খেতে পারেন।
ওজন কমায়:
হালিম বীজ ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং অতিরিক্ত ওজন পরিত্রাণ পেতে একটি প্রাকৃতিক এবং অত্যন্ত কার্যকর উপায়। এই বীজগুলিতে এমন অনেক গুণ পাওয়া যায় যা ওজন কমাতে সহায়ক। এতে উচ্চ ফাইবার থাকে যা পেট ভরা রেখে ক্ষিদে কমায়। এগুলো চর্বি ভেঙ্গে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।
স্তনে দুধের পরিমাণ বাড়ায়:
স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য হালিমের বীজ খুবই উপকারী কারণ তারা স্তনে দুধের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। হালিমে উপস্থিত বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স এবং আয়রন দুধ উৎপাদনে সহায়তা করে। ফাইবার স্তন সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রোটিন এবং ভিটামিন দুধের গ্রন্থি সক্রিয় করে। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দুধ উৎপাদনকে উন্নত করে।
No comments:
Post a Comment