কারি পাতার তৈরি চা কমাবে ওজন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 14 October 2023

কারি পাতার তৈরি চা কমাবে ওজন

  



কারি পাতার তৈরি চা কমাবে ওজন



প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,১৪অক্টোবর: খাবারের স্বাদ বাড়াতে রান্নায় কারি পাতা ব্যবহার করা হয়। এতে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা ত্বক ও চুলের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি ওজন কমাতেও সহায়ক। এমনকি কারি পাতা অনেক রোগের হাত থেকেও রক্ষা করে, তবে আপনি শুধু টেম্পারিং হিসেবে কারি পাতা ব্যবহার করতে পারবেন না, এর চাও খুব উপকারী। কারি পাতা ভেষজ চা দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।


স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন সকালে কারি পাতার চা খেলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায়।  এটিতে একটি রাসায়নিক যৌগ রয়েছে যা দ্রুত বিপাকীয় হারকে বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে শরীরের চর্বি গলতে শুরু করে এবং ওজনও দ্রুত কমতে থাকে।


ওজন কমানোর জন্য কারি পাতার চা তৈরির উপায়: 


১০-২০টি কারি পাতা পরিষ্কার করুন এবং কিছু জলে সেদ্ধ করুন। কিছুক্ষণ পর ছেঁকে নিন এবং স্বাদের জন্য এতে লেবুর রস ও মধু যোগ করুন। কারি পাতা ভেষজ চা প্রস্তুত। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এটি খেলে বড় হওয়া পেট দ্রুত কমতে শুরু করবে।


হজমশক্তি উন্নত করে: সকালে খালি পেটে কারি পাতা চিবিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকে।  বিশেষজ্ঞদের মতে কারি পাতায় এমন উপাদান রয়েছে যা হজমের এনজাইমকে উদ্দীপিত করে, যার ফলে পেট পরিষ্কার হয়। আপনার যদি ঘন ঘন বদহজমের সমস্যা হয়, তাহলে কারি পাতা খেলে সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। সঠিক হজম ওজন কমাতে সাহায্য করে।


অতিরিক্ত চর্বি কমায়

কারি পাতার স্থূলতা প্রতিরোধী এবং লিপিড কমানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে।  তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কারি পাতা সেবন পেটের বর্ধিত চর্বি কমাতে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। কারি পাতা খেলে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও কমে।  স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কারি পাতা ডায়াবেটিসের পাশাপাশি রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে।


শরীরকে ডিটক্সিফাই করে

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে কারি পাতার ব্যবহার শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, যার ফলে অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন হয়।  আপনি কারি পাতার চা পান করতে পারেন বা প্রতিদিন সকালে ৫-১০টি কারি পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন।


অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ, এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। কারি পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক এবং হেপাটোপ্রোটেকটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad