আয়ুর্বেদ মতে গর্ভধারণের সময় কি খাওয়া উচিৎ জানুন
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,২৭অক্টোবর : একজন মহিলার জন্য গর্ভাবস্থার পর্যায়টি যতটা বিশেষ, তেমনই সংবেদনশীল। তাই এই সময়ের মধ্যে, খাদ্যাভ্যাসের বিশেষ যত্ন নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আয়ুর্বেদ গর্ভাবস্থায় কখন এবং কী খাওয়া উপযুক্ত সে সম্পর্কে আসুন জেনে নেই-
আয়ুর্বেদে দেওয়া পরামর্শগুলো মেনে চললে সুস্থ গর্ভধারণ নিশ্চিত করা যায়। গর্ভাবস্থায়, মায়ের গর্ভে শিশুর বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে একজন মহিলার শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে এবং খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদাও ভিন্ন হয়ে যায়। একটি সুস্থ মা ও শিশুর জন্য, আয়ুর্বেদ গর্ভাবস্থার মাস অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকে।
আয়ুর্বেদে সবসময় সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে গর্ভাবস্থায় নারীদেরও গর্ভের শিশুর পুষ্টির জন্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। আয়ুর্বেদে নির্দেশিত খাদ্যাভ্যাস গর্ভাবস্থায় মাসের পর মাস মেনে চললে শুধু গর্ভাবস্থাই সুস্থ থাকে না, শিশুও সব প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। দিল্লির আয়ুর্বেদের ডাক্তার চঞ্চল শর্মার কাছ থেকে আসুন জেনে নেই-
গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে খাদ্যতালিকা হবে:
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে মহিলাদের হালকা তৈলাক্ত খাবার যেমন স্যুপ, ভাজা সবজি ইত্যাদি খাওয়া উচিৎ। এছাড়াও খাদ্যতালিকায় দই এবং ঘি এর মত দুগ্ধজাত দ্রব্য অন্তর্ভুক্ত করুন। ওটস লাড্ডু, আমলকীর মুরাব্বা এবং ব্রাহ্মী, শঙ্খপুষ্পির মতো ভেষজ খাবার হিসেবে নিতে হবে। এটি শরীরে শক্তি যোগায়।
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে খাওয়ার জন্য সঠিক খাবার:
গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে, পিত্ত দোষ অর্থাৎ অগ্নি উপাদানের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। পিট্টাকে প্রশমিত করার জন্য, এই সময়ে শরীরকে শীতলতা দেয় এমন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে, যেমন নারকেল জল, দুধ, তরমুজ, শসা ইত্যাদি। এটি মেজাজ পরিবর্তনের মতো সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায়, অতিরিক্ত ভাজা খাবার এড়াতে ভুলবেন না, যাতে হজমশক্তি ঠিক রাখা যায়।
গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ডায়েট:
গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিক, অর্থাৎ সপ্তম থেকে নবম মাস পর্যন্ত, উত্থান-পতনে পূর্ণ। এই সময়ে, শারীরিক, মানসিক পরিবর্তনও দ্রুত ঘটে মহিলাদের মধ্যে। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে, মহিলাদের তাদের খাদ্যতালিকায় গরম এবং শুকনো খাবার যেমন শস্য, শাকসবজি, লেবু, মশলা এবং কিছু ভেষজ অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। এর মাধ্যমে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়।
No comments:
Post a Comment