গর্ভাবস্থায় ক্লান্তি কাটানোর টিপস
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৮ অক্টোবর গর্ভাবস্থায় নবজাতক শিশু এবং মায়ের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া খুব জরুরি। যে কোনও মহিলার জন্য এই নয়টি মাস খুব সতর্কপূর্ণ,যেখানে তিনি বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যান। এই সময়কালে, মেজাজের পরিবর্তন একটি সাধারণ সমস্যা, কারণ এই সময় শরীরে অনেক হরমোনের পরিবর্তন ঘটে যা মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। গর্ভাবস্থায়, মাস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কখনও কখনও চাপ, দুর্বলতা এবং ক্লান্তিও অনুভূত হতে শুরু করে। বলা হয়ে থাকে যে মা মানসিক চাপে থাকলে তা গর্ভের শিশুর ওপরও প্রভাব ফেলে। তাই গর্ভাবস্থায় হাসিখুশি ও সক্রিয় থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থার প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দিন এবং প্রতিটি মাস খুবই বিশেষ হয় । যদি সঠিক খাওয়ার পাশাপাশি দৈনন্দিন রুটিনে কিছু বিষয় মাথায় রাখেন তবে এই সময়ে ফিট এবং সুস্থ থাকতে পারবেন। যদি গর্ভাবস্থায় থাকেন এবং সারাক্ষণ অলস এবং ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে তা থেকে মুক্তি পেতে কিছু টিপস অনুসরণ করা জরুরী-
প্রতিদিন ব্যায়াম:
গর্ভাবস্থায়ও শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই প্রতিদিন কিছু সময় হাঁটা, হালকা ব্যায়াম এবং যোগব্যায়াম করা উচিৎ। এতে শরীরে শক্তি বজায় থাকে এবং আপনি ক্লান্ত বোধ করেন না। এর পাশাপাশি, এটি এবং ভবিষ্যতের সন্তানের জন্য উপকারী। তবে এই সময়ের মধ্যে ব্যায়াম বা যোগব্যায়ামের জন্য বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিতে পারেন।
প্রচুর জল পান :
গর্ভাবস্থায় প্রচুর জল পান করুন, এটি ত্বকের জন্য ভালো হবে। এছাড়াও, ক্লান্ত বোধ করবেন না। আসলে, কখনও কখনও জলের অভাব অলসতা, দুর্বলতা এবং ক্লান্তির কারণ হয়।
পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি:
ঘুমের খারাপ মানের অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে এবং বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়, একজনকে অবশ্যই সঠিক বিশ্রাম এবং ভাল ঘুম নিতে হবে। এতে শিশুও আরাম অনুভব করে।
কম ক্যাফেইন পান :
লোকেরা প্রায়শই তাজা এবং উদ্যমী বোধ করার জন্য চা এবং কফির আশ্রয় নেয়। গর্ভাবস্থায় এই ক্যাফেইনযুক্ত জিনিসগুলির অত্যধিক ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। অত্যধিক ক্যাফেইন গ্রহণ করা বিপাককে ধীর করে দিতে পারে এবং নিষ্ক্রিয় বোধ করতে পারে। এমতাবস্থায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট বা চিকিৎসা অনুসরণ করাই ভালো।
প্রোটিন এবং আয়রন :
গর্ভাবস্থায় শিশুরা শুধুমাত্র মায়ের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। তাই এই সময়ে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা খুবই জরুরি। এর জন্য খাদ্যতালিকায় ফল, শাকসবজি, শুকনো ফল অন্তর্ভুক্ত করুন যাতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং আয়রন থাকে। এতে ঘুম, অলসতা ও ক্লান্তি কমবে।
No comments:
Post a Comment