বছরের কয়েক মাস জলে ডুবে থাকে এই প্রাচীন মন্দির
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,২৮অক্টোবর : হিমাচলে মানালি এবং সিমলার মতো কিছু জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য রয়েছে। হিমাচলকে দেবতার দেশও বলা হয় কারণ এখানে রয়েছে অনেক প্রাচীন মন্দির। এর মধ্যে মণিকরণ সাহেব এবং জ্বালা মন্দির সবচেয়ে বিখ্যাত। তবে হিমাচলের একটি মন্দির এখানে আছে যেটি ৪ মাস জলে ডুবে থাকে। এই মন্দিরটি ভগবান শিবকে উৎসর্গীকৃত এবং এখানে দর্শনের জন্য ভক্তদের ভিড় হয় । এখানে শিবের একটি বিশাল মূর্তি রয়েছে যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসেন।চলুন তাহলে সেই মন্দির সম্পর্কে জেনে নেই-
হিমাচলের উনায় অবস্থিত বাবা গরীবনাথ মন্দির, এখানে যদি বিমানে যেতে চান তবে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে আসতে হবে। এছাড়াও, স্থানীয় পরিবহনের মাধ্যমে সহজেই এই মন্দিরে পৌঁছতে পারেন। যদি ট্রেনে আসতে চান, তাহলে নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হল উনা। বাবা গরীব নাথ মন্দির সম্পূর্ণভাবে সড়ক দ্বারা সংযুক্ত, তাই এখানে আসতে কোন সমস্যা হবে না। বাবা গরীব নাথ মন্দির সকালে ৫:০০টায় খোলে এবং সন্ধ্যা ৮টায় বন্ধ হয়।
এখানে একটি সুন্দর লেক রয়েছে, সুন্দর পাহাড়ে ঘেরা গোবিন্দ সাগর লেক এটি শিখদের ১০ তম গুরু শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং জির নামে নামকরণ করা হয়েছে। মন্দিরে যেতে হলে নৌকায় চড়তে হয়। বর্ষাকালে মন্দিরের এক তলা জলে ডুবে যায়, তবুও মানুষ আসা-যাওয়া করে।
স্থানীয় লোকজনের মতে, এই মন্দিরটি খুবই প্রাচীন কারণ এর ইতিহাস প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো। কথিত আছে, বাবা গরীব নাথ বছরের পর বছর এখানে তপস্যা করেছিলেন। তারপর তাঁর প্রয়াণের পর গোবিন্দ সাগর হ্রদের পূণ্যভূমিতে মানুষ এই সুন্দর মন্দিরটি নির্মাণ করে।
অমিত বলেন যে মন্দিরে বাবা গরীবনাথের মূর্তি ছাড়াও প্রায় ৩১ ফুট উচ্চতার ভগবান শিবের মূর্তিও রয়েছে। এই মূর্তি গোবিন্দ সাগর হ্রদে আসা লোকজনকে আকর্ষণ করে। বাবা গরীবনাথ মন্দিরে স্থাপিত শিবের মূর্তি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন।
No comments:
Post a Comment