জাতিসংঘে নিষিদ্ধ! গাজায় ইসরায়েলের বিপজ্জনক অস্ত্র
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১০ অক্টোবর : হামাসের সন্ত্রাসী হামলার পর ইসরায়েলের পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এখন ইসরাইল এমন এক অস্ত্র ব্যবহার করছে, যার প্রভাবে একজনের চামড়া, কাপড়ও পুড়ে যায়। শুধু তাই নয়, এই বিপজ্জনক রাসায়নিকের প্রভাব এমন যে তাপ হাড়েও অনুভূত হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে, যাতে দাবী করা হচ্ছে যে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় সাদা ফসফরাস বর্ষণ করছে। এটি উল্লেখযোগ্য যে গাজা স্ট্রিপ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ স্থানগুলির মধ্যে একটি। প্রায় ৩৬২ বর্গকিলোমিটার এলাকায় দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এখানে বসবাস করতে বাধ্য।
সাদা ফসফরাস কি?
হোয়াইট ফসফরাস একটি মোম, হলুদ পরিষ্কার রাসায়নিক। এটি রসুনের মত একটি তীক্ষ্ণ গন্ধ আছে। এটি একটি অত্যন্ত দাহ্য রাসায়নিক যা বাতাসের সংস্পর্শে এলে খুব দ্রুত আগুন ধরে যায়। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের সেনাবাহিনী দ্বারা ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে রাতে আলোকিত করে লক্ষ্যবস্তু দেখা এবং শত্রুদের ক্ষতি সাধনের কাজ করা হয়। সাদা ফসফরাস পোড়ানোর পরে খুব উচ্চ তাপ উৎপন্ন করে, যা কখনও কখনও ৮১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। তা থেকে ধোঁয়ার পুরু স্তরও বের হয়।
সাদা ফসফরাস মাটিতে দ্রুত গতিশীল এবং বিপজ্জনক আগুনের কারণ হতে পারে। একবার পুড়ে গেলে তা হয়ে ওঠে মারাত্মক। এটি শুধু ত্বকেই নয় কাপড়েও লেগে থাকে। সাধারণ নাগরিকদের জন্যও এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। এটি গুরুতর জ্বালা সৃষ্টি করে এবং কেবল টিস্যুই নয় হাড়কেও প্রভাবিত করে। অনেক সময় চিকিৎসার পরও তা আবার জ্বলে ওঠে।
হোয়াইট ফসফরাস জাতিসংঘ কর্তৃক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৯৭২ সালে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একটি প্রস্তাব পাস করে। এতে অগ্নিসংযোগকারী অস্ত্রগুলোকে সন্ত্রাসী অস্ত্রের ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। ১৯৮০ সালে, বিশ্ব বেসামরিক লোকদের খুব বেশি ব্যথা বা ক্ষতি করে এমন কিছু অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করতে সম্মত হয়েছিল। এই চুক্তির প্রোটোকল III এমন অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে যা জিনিসগুলিকে আগুন দেয়।
No comments:
Post a Comment