"বন্দীদের মুক্তি না দিলে একফোঁটা জলও জুটবে না", হামাসের প্রতি ইসরায়েলের হুঁশিয়ারি
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১২ অক্টোবর : ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে এখন নতুন মোড় এসেছে। একদিকে হামাস কমবেশি দেড় শতাধিক মানুষকে বন্দী করেছে, অন্যদিকে ইসরাইল গাজার বিদ্যুৎ ও জল বন্ধ করে দিয়েছে। এবার ফিলিস্তিনের সামনে বড় শর্ত দিয়েছে ইসরাইল। ইসরায়েল সরকার বলেছে যে হামাস ইসরায়েলের হাতে বন্দী হওয়া লোকদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গাজার বিদ্যুৎ ও জল বন্ধ থাকবে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। হামাস সন্ত্রাসীরা ইসরায়েলে প্রবেশ করে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। চারদিক থেকে রকেট ছোড়া হয়। যেখানে এক হাজারের বেশি ইসরায়েলি মানুষ মারা গেছে। এ ছাড়া অন্যান্য দেশের শতাধিক মানুষও এই হামলায় নিহত হয়েছেন। হামাস অনেক মানুষকে বন্দীও করেছে। হামাসের হামলার সমালোচনা হচ্ছে সারা বিশ্বে। আমেরিকা ও ইসরাইল একে নিষ্ঠুরতা বলছে এবং গাজায় হামাসের ঘাঁটি ধ্বংস করছে।
ইসরাইল ক্রমাগত গাজা উপত্যকায় হামলা চালাচ্ছে
গাজা উপত্যকায় ক্রমাগত আক্রমণকারী ইসরায়েল এই সময়ে খুবই ক্ষুব্ধ এবং হামাসকে তার শিকড় থেকে নির্মূল করার শপথ নিয়েছে। এ জন্য তিনি গাজা উপত্যকায় ক্রমাগত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে সাধারণ মানুষও। সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি নারী ও শিশুরাও প্রাণ হারাচ্ছে। একই সঙ্গে গাজা উপত্যকার পুরো নেটওয়ার্কও ভেঙে দিয়েছে ইসরাইল। সেখানে বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ বন্ধ থাকায় খাবার-দাবার সংকটে পড়েছে মানুষ।
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের সমালোচনাও শুরু হয়েছে। ফিলিস্তিনের আহ্বানে আরব লীগের ২২টি দেশ বুধবার কায়রোতে জরুরি বৈঠক করে ইসরায়েলের জন্য একটি ডিক্রি জারি করে। আরব লিগের দেশগুলো সর্বসম্মতিক্রমে বলেছে, ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া উচিৎ।
আগে বন্দীদের মুক্তি দাও
ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন, হামাসকে আগে আমাদের বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে, তবেই বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ শুরু হবে। হামাস প্রায় ১২৫ জনকে বন্দী করেছে। তাদের মধ্যে ইসরায়েলি নাগরিক ছাড়াও আমেরিকান নাগরিকও রয়েছেন। বন্দীদের মুক্তির জন্য অব্যাহত আলোচনা চলছে। এবার হামাসের সামনে শর্ত দিয়েছে ইসরাইল।
No comments:
Post a Comment