জানেন কী আয়নায় প্রথম মুখ কে দেখেন?
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৯ অক্টোবর: আয়না আবিষ্কারের আগে মানুষের মুখ দেখা শুধু কঠিনই না, অসম্ভবও ছিল। কিন্তু আয়নার আবির্ভাবের পর এটা অনেক সহজ হয়ে যায়। আজকাল তো সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথেই আমরা আয়নায় আমাদের মুখ দেখি, এমনকি, স্নান করা, শেভ করা, মেকআপ করা সবটাই আয়না দেখে হয়। আয়না ছাড়া আমরা কখনই জানতে পারি না আমাদের চেহারা কেমন। কিন্তু কখনও কী ভেবে দেখেছেন কখন এবং কীভাবে এই পরম্পরা শুরু হয়? আয়না আবিষ্কারের আগে এটা সম্ভবও ছিল না।
ঐতিহাসিকভাবে দেখলে, আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব দেখার প্রথা অনেক পুরনো। বহু শতাব্দী ধরে মানুষ তাদের মুখ দেখতে এবং সাজার জন্য আয়না ব্যবহার করে আসছে। আসুন জেনে নিই এই প্রথাটি কে এবং কেন শুরু করেছে?
আয়নার ইতিহাস
বলা হয় ১৮৩৫ সালে আয়নার আবিষ্কার হয়েছিল। যখন জার্মান রসায়নবিদ জাস্টাস ফন লিবিগ একটি কাঁচের ফলকের পৃষ্ঠে ধাতব রূপার একটি পাতলা স্তর প্রয়োগ করে এটি তৈরি করেছিলেন। তবে এর আগে অধিকাংশ দরিদ্র মানুষের কাছে আয়না ছিল না। তখনকার দিনে ঘরে আয়না রাখাকে বিলাসিতা মনে করা হত। এমন অবস্থায় বেশির ভাগ মানুষ জলের উপরিভাগে তাদের ছবি দেখতেন। আয়না প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে, কিন্তু ১৮ শতক পর্যন্ত এটি সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ছিল। ১৮ শতকে, আয়না উৎপাদনে উন্নতি এবং যান্ত্রিকীকরণ আয়নার দাম কমিয়ে দেয় এবং এটি সাধারণ মানুষের জন্য উপলব্ধ হয়। এরপর থেকে আয়নার ব্যবহার দ্রুত বেড়ে যায়।
আয়না না থাকলে কীভাবে মুখ দেখা হতো?
মানুষ জলের নিচে, চকচকে ধাতব পৃষ্ঠ বা মসৃণ পাথরের মতো প্রতিফলিত পৃষ্ঠে তাদের প্রতিবিম্ব দেখতেন।
কিছু লোক আয়না হিসাবে পরিষ্কার তামা বা রূপার পাত্র ব্যবহার করতেন।
ধনী শ্রেণীর লোকেরা রূপার তৈরি ছোট আয়না ব্যবহার করতেন।
কিছু লোক একে অপরকে তাদের মুখ এবং সাজসজ্জার যত্ন নিতে সাহায্য করতেন।
চিত্রশিল্পীরা প্রায়শই জল বা তেলের পৃষ্ঠের প্রতিফলন দেখে চিত্র আঁকতেন।
No comments:
Post a Comment