ল্যাভেন্ডার ফুল চাষে কৃষকদের অর্থনীতির উন্নতি!
রিয়া ঘোষ, ০৭ অক্টোবর : কাশ্মীরের জাফরানের পর এবার কাশ্মীরের ল্যাভেন্ডার ফুলের সুবাসও ছড়াতে শুরু করেছে হরশিল উপত্যকা ও টাকনাউর এলাকায়। কৃষি বিভাগ হর্ষিল উপত্যকার তিনটি গ্রাম এবং নিম্ন টাকনৌর বেল্টের দুটি গ্রামে কৃষকদের পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে কাশ্মীর ল্যাভেন্ডারের চারা বিতরণ করেছে। যার কারণে মাত্র সাত মাসে প্রায় ৮ কেজি ল্যাভেন্ডার ফুল উৎপাদন হয়েছে।
ল্যাভেন্ডার চাষের ট্রায়াল: গত বছর ডিসেম্বর মাসে, কৃষি বিভাগ জেলা প্রকল্পের মাধ্যমে ল্যাভেন্ডার চাষের পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছিল। যার অধীনে, কাশ্মীর থেকে আনা ল্যাভেন্ডারের ৩২ হাজার চারা হারশিল উপত্যকার মুখবা, ঝালা এবং সুক্কি গ্রাম এবং লোয়ার টাকনৌরের নাতিন এবং গোরশালি গ্রামে ৭০ জন কৃষককে পরীক্ষার জন্য বিতরণ করা হয়েছে। সাত মাসের মধ্যে এখানে ল্যাভেন্ডার চাষে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে।
চাষিরা করলেন চাষাবাদ: যার জেরে কৃষকের পাশাপাশি উচ্ছ্বসিত কৃষি দফতর। নাতিন গ্রামের প্রধান মহেন্দ্র পোখরিয়াল, যিনি ল্যাভেন্ডার চাষ করেন, বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে তিনি ২ থেকে ৩ ড্রেন জমিতে ল্যাভেন্ডার চাষ করেছিলেন, যেখানে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ভাল ফুল হয়েছে। গত বছর হর্ষিল উপত্যকায় কাশ্মীরের জাফরান চাষের পরীক্ষাও সফল হয়েছিল।
ল্যাভেন্ডার ফুলের দাম প্রতি কেজি ১৪০০ টাকা: ল্যাভেন্ডার ফুল বিশেষ করে পারফিউম এবং রুম ফ্রেশনার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি বাম, ওষুধ এবং প্রসাধনীতেও ব্যবহৃত হয়। এর ফুল বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। যেখানে এর তেল প্রতি কেজি ২৩৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
জৈব বেড়া হিসাবেও কাজ করবে: প্রধান কৃষি আধিকারিক জেপি তিওয়ারি বলেছেন যে ল্যাভেন্ডার চারা বায়ো ফেন্সিং হিসাবেও কাজ করবে। যার ফলে কৃষির ক্ষতিকারী বন্য প্রাণীরাও দূরে থাকবে। সেই সঙ্গে বন্যার মধ্যেও চাষাবাদ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে কৃষকরা। হর্ষিল ও টাকনাউর এলাকায় ল্যাভেন্ডার চাষের পরীক্ষা সফল হয়েছে। সাত মাসে প্রায় সাত থেকে আট কেজি ল্যাভেন্ডার ফুল উৎপাদন হয়েছে। এটি কৃষকদের কৃষিকাজের বিকল্প প্রদান করবে এবং এলাকার পর্যটনকেও উত্সাহিত করবে।
No comments:
Post a Comment