ওষুধের ঘাটতি-চিকিৎসায় অবহেলা! ৩৬ ঘন্টায় মৃত ৩১ রোগী, হাসপাতালে তোলপাড়
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৩ অক্টোবর : গত ৩৬ ঘন্টায় ৩১ জন রোগীর মৃত্যুর কারণে মহারাষ্ট্রের নান্দেদের একটি সরকারি হাসপাতালে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে মৃত্যুর পর রোগীর পরিবারের সদস্যদের ক্ষোভ ফেটে পড়ে হাসপাতাল প্রশাসনের ওপর। পরিবারের সদস্যরা স্লোগান দেন এবং অভিযোগ করেন, ওষুধ ও চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগীদের সময়মতো চিকিৎসা হচ্ছে না। এই মামলাটি শঙ্কররাও চ্যাবন সরকারি মেডিক্যাল হাসপাতালের, নান্দেডের।
লোকজনের হট্টগোলের কারণে হাসপাতালে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে মেডিক্যাল সুপার জানিয়েছেন, এটিই এই এলাকার সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল। এখানে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূর থেকে মানুষ চিকিৎসা নিতে আসেন। অনেক সময় অন্য হাসপাতাল থেকে রেফার করেও রোগীরা এখানে আসেন। যাদের ভর্তি করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১২ জন শিশু রয়েছে যার মধ্যে ৬ জন ছেলে ও ৬ জন মেয়ে। অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্করা বিভিন্ন কারণে মারা গেছে।
মেডিক্যাল সুপার বলেন, হাসপাতালে আসা প্রতিটি রোগীকে যথাযথ সেবা দেওয়া হয়। হাসপাতালের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী এখানে প্রচুর রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। রোগীদের চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়েছে বলা ঠিক হবে না। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিরাও এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন।
শঙ্কররাও চভান সরকারি হাসপাতালের ডিন ডাঃ ওয়াকাডে বলেছেন যে হাসপাতালে যে ওষুধ পাওয়া যায় তা রোগীদের দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ৩১ জনের মধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন ইতিমধ্যেই গুরুতর রোগে ভুগছিলেন। মারা যাওয়া ১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর মধ্যে চারজনের হৃদরোগজনিত রোগ ছিল। এক ব্যক্তি বিষ খেয়েছিল। দুজন গ্যাস্ট্রো এবং দুজন কিডনি রোগে ভুগছিলেন। একজন মহিলা রোগী গর্ভাবস্থা সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন। একই সময়ে পৃথক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
দোষীদের রেহাই দেওয়া হবে না - একনাথ শিন্ডে
একইসঙ্গে এই বিষয়ে বেরিয়ে এসেছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের বক্তব্যও। তিনি বলেছেন যে যদি অবহেলার কারণে মৃত্যু ঘটে থাকে তবে দোষীদের রেহাই দেওয়া হবে না।মহারাষ্ট্রের মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের ডিরেক্টর ডাঃ দিলীপ মহিসকার বলেছেন যে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সময়ে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও হাসপাতালে ২৪ জনের মৃত্যুকে দুঃখজনক বলে বর্ণনা করেছেন এবং বিজেপি সরকারকে নিশানা করে বলেছেন যে বিজেপি সরকার প্রচারে কোটি কোটি টাকা খরচ করে, কিন্তু ওষুধের জন্য টাকা নেই।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চ্যাবন ট্যুইট করে দাবী করেছেন যে গতকাল থেকে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। অশোক চ্যাবনও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং অভিযোগ করেন যে এই হাসপাতালে ডাক্তারের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে, হাসপাতালের জন্য যে পরিমাণ মঞ্জুর করা হয়েছিল তা দেওয়া উচিত ছিল। সিটি স্ক্যানসহ অনেক মেশিন বন্ধ পড়ে আছে
No comments:
Post a Comment