প্রকৃতির সঞ্জীবনী ভেষজ গমের ঘাস
প্রেসকার্ড নিউজ,হেল্থ ডেস্ক,২৫ অক্টোবর: চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুসারে,গমের ঘাসে রয়েছে ১৩ ধরনের ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।যার মধ্যে ভিটামিন বি-১২, অনেক খনিজ লবণ,সেলেনিয়াম এবং সমস্ত (২০)রকম অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায়।
গমের ঘাসে পাওয়া এনজাইম শরীরকে বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্ত করে।অতএব একে অমৃতের মর্যাদা দেওয়া যেতে পারে, খাদ্য নয়।আমেরিকা,ইউরোপ,এশিয়া ও ভারতের অনেক রাজ্যের মানুষ দ্রুত গমের ঘাসের উপযোগিতা গ্রহণ করছে এবং নিয়মিত এটি খেয়ে সুফল পাচ্ছে।
বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রকৃতি আমাদের অনেক মূল্যবান আশীর্বাদ দিয়েছে।তার মধ্যে একটি হল গমের ঘাস।এর ঔষধিগুণের পরিপ্রেক্ষিতে ডায়েটিশিয়ানরাও একে প্রকৃতির সঞ্জীবনী ভেষজ বলে অভিহিত করেছেন।
গমের ঘাস খাওয়ার উপকারিতা -
গমের ঘাসে বিশুদ্ধ রক্ত তৈরির ক্ষমতা রয়েছে,তাই এই ঘাসের রসকে 'সবুজ রক্ত' বলা হয়।এটিকে সবুজ রক্ত বলার একটি কারণ হ'ল গমের ঘাসের রস এবং মানুষের রক্ত উভয়েরই Ph ফ্যাক্টর মাত্র ৭.৪,যার কারণে এর রস পান করার পর রক্তে এর শোষণ দ্রুত হয়ে যায়।
গমের ঘাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ক্লোরোফিল।এটি ক্লোরোপ্লাস্ট নামক বিশেষ ধরনের কোষে ঘটে।ক্লোরোপ্লাস্ট সূর্যালোকের সাহায্যে পুষ্টি তৈরি করে।এই কারণেই ডাক্তাররা বর্ষার ক্লোরোফিলকে 'ঘনিষ্ঠ সৌরশক্তি' বলে অভিহিত করেন। সব সবুজ গাছে ক্লোরোফিল থাকলেও গমের ক্লোরোফিল সবচেয়ে ভালো।ক্লোরোফিল ছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
গমের ঘাস রক্ত ও সংবহনজনিত রোগ,রক্তাল্পতা,ডায়াবেটিস, ক্যান্সার,চর্মরোগ,স্থূলতা,কিডনি ও পাকস্থলী সংক্রান্ত রোগ নিরাময়ে উপকারী।
গমের ঘাস যে সব বড়ো রোগ দূর করে -
গমের ঘাসে রয়েছে ক্ষারীয় খনিজ যা আলসার,কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া থেকে মুক্তি দেয়।এটি একজিমা,সর্দি-কাশি ও হাঁপানিতে উপকারী।মরসুমি রোগের পাশাপাশি এটি ম্যালেরিয়াতেও উপকারী।ডেঙ্গুতে প্লেটলেট বাড়াতে সাহায্য করে।এটি থাইরয়েড,হৃদরোগ এবং রক্তচাপের ক্ষেত্রেও উপকারী।কারণ এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।
রোগী ছাড়াও একজন সুস্থ মানুষও এটি খেতে পারেন।এর রস হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে,শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে শরীরকে শক্তিশালী করে এবং তাৎক্ষণিক এনার্জি যোগায়।
গমের ঘাস চিবিয়ে খেলে গলা ব্যথা ও মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।এর রস দিয়ে গার্গল করলে দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণে উপশম হয়।এই রস ত্বকে লাগালে ত্বকে উজ্জ্বলতা আসে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment