মুরগি পালনের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন
রিয়া ঘোষ, ১৯ অক্টোবর : ভাল মুনাফা অর্জনের জন্য মুরগি পালন একটি দুর্দান্ত ব্যবসা হতে পারে। কম খরচে এবং টাকার প্রাপ্যতা অনুযায়ী এটি শুরু করা যায়। তবে এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে কিছু বিশেষ বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কারণ হাঁস-মুরগির খামারে রোগ সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
যার কারণে আঙিনায় থাকা অনেক মুরগি একই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে, তাই চলুন বিস্তারিত জেনে নিন হাঁস-মুরগি পালনে কী কী বিষয়ে বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
মুরগি পালনের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
পোল্ট্রি খামারীদের জন্য মুরগি পালনের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
মুরগিকে ঘেরে রাখতে হবে।
শুধুমাত্র মুরগির যত্ন নেওয়া ব্যক্তিকে মুরগির কাছাকাছি যেতে দেওয়া উচিৎ।
অপ্রয়োজনীয় লোকদের ঘেরে প্রবেশ করতে দেওয়া উচিৎ নয় এবং মুরগিকে অন্য প্রাণী ও পাখির সংস্পর্শে আসতে দেওয়া উচিৎ নয়। মুরগির সংস্পর্শে আসা প্রতিটি বস্তুর পরিচ্ছন্নতার যত্ন নিতে হবে।
মুরগি রাখার স্থান এবং তার আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার করার সম্পূর্ণ যত্ন নিতে হবে, যাতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এড়ানো যায়।
প্রতিদিন মুরগির খাবার ও জল পরিবর্তন করতে হবে।
মুরগির খাঁচা নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
নতুন মুরগিকে অন্তত ৩০ দিনের জন্য সুস্থ মুরগি থেকে দূরে রাখতে হবে।
যেকোনও রোগের বিস্তার রোধ করতে মুরগির সংস্পর্শে আসার আগে ও পরে হাত ধোয়ার পাশাপাশি কাপড় ও জুতা পরিষ্কার করে সংক্রমণমুক্ত করতে হবে।
মুরগির সংস্পর্শে আসা যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম ইত্যাদিও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
মুরগির স্বাস্থ্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এছাড়াও, মুরগিদের চোখ, ঘাড় এবং মাথার চারপাশে ফুলে যাওয়া, ক্রেস্ট, ডানা বা পায়ের রঙের পরিবর্তন এবং পাখি কম ডিম পাড়লে সতর্ক হওয়া উচিৎ, কারণ এগুলি রোগ এবং সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।
প্রতিটি সাধারণ রোগ বা মুরগির মৃত্যু অবিলম্বে নিকটস্থ ভেটেরিনারি হাসপাতালে জানাতে হবে। খাবার ও জল পরিবর্তন করতে হবে।
No comments:
Post a Comment