এস.ডি. বর্মনের জীবনী
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক,১৭অক্টোবর : ১লা অক্টোবর ১৯০৬ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে জন্মগ্রহণ করেন শচীন দেব বর্মণ। লোকে তাকে এস ডি বর্মণ নামেই চেনে। ভারতীয় চলচ্চিত্রে তিনি এমন অবদান রেখেছেন যা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। হিন্দি ছবির গানে তিনি নতুন জায়গা করে দেন । এছাড়াও, লতা মঙ্গেশকর থেকে মহম্মদ রফি এবং কিশোর কুমার থেকে মুকেশ সকলের ক্যারিয়ারকে তিনি পরবর্তী স্তরে নিয়ে যান। চলুন তাহলে জেনে নেই এসডি বর্মনের জীবনের সম্পর্কে-
এস ডি বর্মনের মায়ের নাম ছিল রাজকুমারী নির্মলা দেবী। তিনি মণিপুরের রাজকন্যা ছিলেন, তার পিতা এমআরএন দেব বর্মণ ছিলেন ত্রিপুরার মহারাজার পুত্র। শচীন দেব বর্মনের মোট নয় ভাই বোন ছিল। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। রাজপরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও এসডি বর্মনের কৃপণতার গল্প সমগ্র ইন্ডাস্ট্রিতে বিখ্যাত ছিল। কথিত আছে যে, তিনি অর্থ ব্যয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতেন, যার কারণে লোকে তাকে কৃপণও বলত।
এস ডি বর্মণ সবচেয়ে বেশি ফুটবলের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। তিনি অবশ্যই ফুটবল ম্যাচ দেখতেন। কথিত আছে যে একবার মোহনবাগান দল তাদের ম্যাচ হেরে গেলে, এস ডি বর্মণ খুব দুঃখ পেয়েছিলেন। তিনি গুরু দত্তকে বলেছিলেন যে আজ তিনি সুখের গান রচনা করতে পারবেন না। যদি কোন দুঃখের গান থাকে তবে তাই বানিয়ে দেবেন তিনি।
কথিত আছে, এস ডি বর্মণ খুবই কৃপণ ছিলেন। তাঁর কৃপণতার একটি ঘটনা তাঁর পুত্র আর ডি বর্মনের জীবনীতে উল্লেখ করা রয়েছে। এই গল্পটি এসডি বর্মনের চটি সম্পর্কিত। আসলে, এসডি বর্মন যখনই মন্দিরে যেতেন, একসঙ্গে দুটো চটি খুলে যেতেন না। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শহরে চটি চুরির ঘটনা বেড়েছে। তার বন্ধু জিজ্ঞেস করেন চোর যদি চটি জোড়া খুঁজে পায়? এর পর এস ডি বর্মণ মজা করে বলেছিলেন, চোর যদি আমার চটি দুটো খুঁজে পায়, তাহলে বাস্তবে সে এটি নেওয়ার অধিকারী।
No comments:
Post a Comment