এই স্থানে দশেরার দিন শুরু হয় দশেরা উৎসব
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩১অক্টোবর : কিছু দিন আগেই হয়ে গেল বিজয়াদশমী। খারাপের ওপর ভালোর বিজয়ের প্রতীক হিসেবে আমরা দশেরা উদযাপন করি। কিন্তু জানেন কী এমন একটি জায়গা আছে যেখানে বিজয়াদশমী দিয়ে দশেরা শুরু হয়? সেই জায়গাটি হল কুল্লু, যা হিমাচলের এই আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটে প্রায় ৭ দিন ধরে চলে। স্থানীয় মানুষ তাদের রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে এই উৎসব পালন করে থাকে।
দশেরার শুরুতে কুল্লুতে এক অন্যরকম আভা দেখা যাচ্ছে। এখানে মেঘনাথ, কুম্ভকর্ণ ও রাবণের মূর্তি পোড়ানো হয় না। বরং স্থানীয়রা তাদের ঈশ্বরের পূজায় মগ্ন হয়। চলুন কুল্লু দশেরার সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু আকর্ষণীয় বিষয় জেনে নেই-
হিমাচলের কুল্লুতে ২৪শে অক্টোবর থেকে দশেরা শুরু হয়েছে। এখানকার লোকেরা তাদের ভগবান রঘুনাথের একটি বিশাল রথযাত্রার আয়োজন করে। লোকেরা ঢোলের শব্দে তাদের দেবতাকে স্বাগত জানায়। উৎসব উদযাপনকারী লোকজনকে এ সময় স্থানীয় পোশাকে দেখা যায়। এ সময় ঢোল, ঢোল, বাঁশি ব্যবহার করে ভগবানকে খুশি করার চেষ্টা করা হয়।
এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করে। কুল্লু দশেরা, যা সাত দিন ধরে চলে, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতীক। উৎসবে অংশগ্রহণকারী লোকে বিশ্বাস করেন যে এই উপলক্ষে প্রায় ১০০জন দেব-দেবী পৃথিবীতে আসেন এবং এর অংশ হন।
কুল্লুর ধোলপুর মাঠে এই মেলার আয়োজন করা হয়। এটি উদীয়মান চাঁদের সঙ্গে শুরু হয় এবং ৭ দিন স্থায়ী হয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে উৎসবটি ১৬৬২ সালে শুরু হয়েছিল, তবে এর ইতিহাস বেশ পুরনো। দশেরার দেবতারা উৎসবের প্রথম দিনে কুল্লুতে আসেন।
উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক অনন্য গল্প। কথিত আছে ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে এখানকার রাজা জগৎ সিং অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি তার চিকিৎসার জন্য বাবা পয়াহরির সাহায্য নিয়েছিলেন যিনি রাজাকে ভগবান রঘুনাথের মূর্তি এনে তার চরণামৃত পান করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। অনেক কষ্টের পর এই প্রতিমা কুল্লুতে আসতে পারে। এরপর রাজা সব দেব-দেবীকে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানান। সেই থেকে রঘুনাথকে এখানে সবচেয়ে বড় দেবতা মনে করা হয়। সঙ্গে চলছে দশেরা থেকে দেব-দেবী আনার রীতি।
No comments:
Post a Comment