লোহার লেজার অস্ত্র কী ও কতটা বিপজ্জনক?
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৯ অক্টোবর : ইসরায়েলে আকস্মিক হামলার পর, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করার শপথ নিয়েছে ইসরায়েল এবার। এই যুদ্ধে ইসরায়েল তার সর্বশক্তি দিয়ে আক্রমণ করছে। এরই মধ্যে খবর এসেছে, ইসরাইলও তাদের সবচেয়ে বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহার করতে যাচ্ছে। যাকে লেজার অস্ত্র বলা হয়। এর আগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাদা ফসফরাস বোমা ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছিল। আজ আমরা জানবো এই লোহার লেজার অস্ত্র কি এবং কেন এটি কতটা বিপজ্জনক-
নিজের ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল এখন হামাসের ওপর আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে স্থল হামলা পর্যন্ত আগুন বর্ষণ করছে। হামাস সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে। এর আওতায় লেজার রশ্মির ব্যবহারও শুরু হতে যাচ্ছে।
কোন ধরনের আক্রমণ এড়াতে, একটি বিশেষ কৌশল ব্যবহার করা হয়। ইসরায়েলের অনেক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও রয়েছে। লোহার মরচেও এমনই একটি ব্যবস্থা। যা দিয়ে যেকোনও বিমান হামলা মোকাবেলা করা যাবে। ইসরায়েল লেজার রশ্মির মাধ্যমে বাতাসে মিসাইল ধ্বংস করতে পারে। আগে বলা হচ্ছিল এটি ২০২৫ সালের মধ্যে চালু করা হবে, কিন্তু এখন যুদ্ধের বিবেচনায় এটি ইতিমধ্যেই যুদ্ধক্ষেত্রে চালু করা হচ্ছে।
গত বছর সারা বিশ্বকে এই অস্ত্রের আভাস দেখিয়েছিল ইসরায়েল। ইসরায়েলের আয়রন বিম শত্রুর কাছ থেকে আসা যেকোনো বিমান, মর্টার, মিসাইল বা বোমা ধ্বংস করতে পারে। এটি মাত্র এক সেকেন্ডে আক্রমণ বানচাল করতে পারে। এই সিস্টেমটিও আয়রন ডোমের মতো, তবে এটি তার চেয়ে অনেক সস্তা। একটি আয়রন ডোম মিসাইলের দাম প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। এমতাবস্থায় ইসরায়েলের জন্য আয়রন বিম বড় ও সস্তা অস্ত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বলা হচ্ছে এটি আয়রন ডোমের চেয়েও ভয়ঙ্কর অস্ত্র।
এই অস্ত্র ব্যবস্থার বিশেষ বিষয় হল এটি বিমান থেকেও বাতাসে ব্যবহার করা যায়। তার মানে, যদি মাটিতে কোনো লক্ষ্যবস্তুকে লেজার রশ্মি দিয়ে ধ্বংস করতে হয়, তাহলে এই লোহার রশ্মি তা দুই সেকেন্ডের মধ্যেই ধ্বংস করতে পারে। সামগ্রিকভাবে, ইসরায়েল এখন তার ব্রহ্মাস্ত্র ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
No comments:
Post a Comment