শাড়ি-ব্লাউজ খুলে রাতপোশাকে বেডরুমে উদোম নাচ রচনা ব্যানার্জির!
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১০ অক্টোবর: বয়স যাদের কাছে শুধুমাত্র একটা সংখ্যা, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন টলিউড নায়িকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চাশের কোঠায় পৌঁছে গেলেও এই অভিনেত্রীকে দেখে মোটেই আপনি বুঝতে পারবেন না অভিনেত্রীর আসল বয়স কত। সমসাময়িক যে কোন অভিনেত্রী থেকে তিনি আরো বেশি অ্যাকটিভ এবং সাবলীল ক্যামেরা সামনে আজও। গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে দিদি নাম্বার ওয়ান নামক রিয়ালিটি শোকে স্বগর্বে সঞ্চালনা করছেন তিনি।
গত ২ অক্টোবর অর্থাৎ গান্ধী জয়ন্তীর দিন ছিল রচনার জন্মদিন। ঐদিন একপ্রকার সারা ভারতবর্ষের অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকে তাই নিজের জন্মদিনটা একেবারে নিজের মতোই কাটাতে পারেন রচনা। সমস্ত কাজ থেকে ছুটি নিয়েই একান্ত সময় টুকু তিনি নিজের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেই কাটাতে ভালোবাসেন।
প্রতি বছরের মতো এই বছরেও জন্মদিনে নিজের পরিবার এবং কাছের বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে জমিয়ে পার্টি করলেন অভিনেত্রী। জন্মদিনের পরেই নিজের ইনস্টাগ্রামে তিনি যে ভিডিও পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে, বন্ধু বান্ধবীদের সঙ্গে রাতের পোশাকে গানের তালে তালে মেতে উঠেছেন রচনা। শুধু তাই নয়, নাচতে নাচতে একেবারে বিছানায় উঠে বসেছেন অভিনেত্রী। জন্মদিনের সাজে অভিনেত্রীকে যেন লাগছিল কোন অষ্টাদশী কন্যা।
শিশু সুলভ এই অভিনেত্রী নিজের কেক কাটার ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, এমন করেই যেন আরো মজা করতে পারি। আরো যেন এমন অনেক কেক কাটতে পারি। জীবনে এমন যেন অনেক স্মৃতি তৈরি করতে পারি। এই ছোট জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত যেন এইভাবে আনন্দ করতে পারি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ান সঞ্চালিকা একটি শাড়ির ব্যবসা শুরু করেছেন। শুধু শাড়ি নয়, একটি প্রসাধনী সংস্থাও খুব শীঘ্রই বাজারে নিয়ে আসছেন রচনা। কাজের ফাঁকে একমাত্র ছেলেকে সময় দেওয়াই রচনার একমাত্র কাজ। কাজের শেষে কখনোই অভিনেত্রীকে সেটে থাকতে দেখা যায় না, এমনও শোনা যায় বাড়ি তাড়াতাড়ি ফেরার জন্য অনেক সময় বোরখা পরে মেট্রো ধরে বাড়ি ফিরে যান রচনা, শুধুমাত্র ছেলেকে সময় দেবেন বলে।
সদা হাস্যময়ী এই অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন কিন্তু একেবারেই সুখকর নয়। উড়িয়া সিনেমাতে অভিনয় করার সময় সহ অভিনেতা সিদ্ধার্থ মহাপাত্রকে বিয়ে করেছিলেন তিনি তবে পরবর্তীকালে সেই বিবাহ টেকেনি। প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের পরে ফের প্রবাল বসু নামে এক ব্যক্তিকে ২০০৭ সালে বিয়ে করেন তিনি, দুর্ভাগ্যবশত এই বিয়েটি ২০১৬ সালে ভেঙে যায়। এখন রচনা শুধু একমাত্র পুত্র সন্তানকে নিয়ে এবং কাজ নিয়ে সময় কাটান।
No comments:
Post a Comment