চন্দনের প্রেমে সাহিল থেকে রিয়া! এরপরেই গল্পে ট্যুইস্ট - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 6 October 2023

চন্দনের প্রেমে সাহিল থেকে রিয়া! এরপরেই গল্পে ট্যুইস্ট

 


চন্দনের প্রেমে সাহিল থেকে রিয়া! এরপরেই গল্পে ট্যুইস্ট





প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৬ অক্টোবর: বলা হয়, প্রেমে সম্পদ, দারিদ্র, জাত-ধর্ম কোনও ব্যাপারই নয়। আপনি যখন কাউকে সত্যিকারের ভালোবাসেন, তখন এই সমস্ত জিনিসগুলি শুধুমাত্র শব্দ হয়েই রয়ে যায়। তবে এসবের থেকে একধাপ এগিয়ে বিহারে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এখানে ভালোবাসার কাহিনী শুরু হয় দুটি ছেলের মধ্যে। আর একসঙ্গে সংসার পাততে লিঙ্গ পরিবর্তন করে নেয় তাদের একজন। এরপর দুজনেই স্বামী-স্ত্রীর মতো একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু এরপরেই কাহিনীতে ট্যুইস্ট; প্রেমের নেশা কেটে যেতেই ছেলেটি, মেয়েতে রূপান্তরিত হওয়া তার প্রেমিকাকে ছেড়ে চলে যায়, আর তাও মাত্র এক বছর পর। এরপর থেকে সেই প্রেমিকাকে অর্কেস্ট্রায় নাচ-গান করে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে। তা সত্ত্বেও, তার এখনও আশা রয়েছে যে, তার প্রেমিক একদিন তার কাছে ফিরে আসবে।


ঘটনাটি বিহারের সরণ (ছাপড়া) জেলার ইসুয়াপুর থানার ইসুয়াপুর গ্রামের। এখানে ইসুয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা সাহিলের সঙ্গে মধুরা ব্লকের গৌরা গ্রামের বাসিন্দা চন্দন কুমারের বন্ধুত্ব হয়। এই বন্ধুত্ব পরে সমকামী সম্পর্কে পরিণত হয়। প্রেম যখন তুঙ্গে, তখন দুজনেই মুম্বাই পালিয়ে যান। সেখান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে স্পট বয় হিসেবে কাজ শুরু করেন চন্দন। দুজনেই মুম্বাই, দিল্লী ও পুনেতে দুই বছর একসঙ্গে ছিলেন। এই সময় সাহিল মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়ে রিয়া হন। 


রিয়া হওয়ার পর সাহিল চলচ্চিত্র ও অ্যালবামে নাচের সুযোগ পেতে শুরু করেন। রিয়া (সাহিল) নাচ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন এবং তা তার প্রেমিক চন্দনের জন্য ব্যয় করে। কিন্তু এক বছর পরই রিয়ার প্রতি মোহ ভঙ্গ হয় চন্দনের, তাই সে রিয়াকে গ্রামে ফেরত পাঠায়। এদিকে রিয়া রূপি সাহিল তার বাড়িতে পৌঁছলে পরিবারের সদস্যরা তাকে চিনতে পারেননি। পাশাপাশি গ্রামবাসীরাও তাকে দেখে অবাক হয়ে যায়।


এদিকে রিয়ার প্রেমিক চন্দনও গ্রামে চলে আসে এবং চন্দনকে তার সাথে থাকার জন্য চাপ দিতে থাকে রিয়া। কিন্তু চন্দন সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর এই বিষয়ে পঞ্চায়েত হয়। পঞ্চায়েত রায় দেয় যে, চন্দনের পরিবারকে গৌড়ায় এক কাঠা জমি সহ রিয়াকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে, তারপরে তাদের দুজন আলাদা হবেন। রিয়া অভিযোগ করেন যে, চন্দনের পরিবার তাকে ৩৫,০০০ টাকা দিয়েছে কিন্তু এখনও তাকে জমি দেওয়া হয়নি। রিয়া বলেছে, তিনি এখনও চন্দনকে আগের মতোই ভালোবাসেন। তিনি আশা করেন, চন্দন একদিন তার কাছে ফিরে আসবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad