'সীমান্তে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটানো পাকিস্তানের অভ্যাস ছিল, কিন্তু এখন-', তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসকে নিশানা শাহর
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১০ অক্টোবর: 'পাকিস্তানের তরফ থেকে সন্ত্রাসী হামলা হত আর আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী মৌনি বাবা চুপ থাকতেন', নাম না নিয়ে এভাবেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদের ইম্পেরিয়াল গার্ডেনে পেশাদার এবং বুদ্ধিজীবীদের সাথে একটি ইন্টারেক্টিভ বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি কংগ্রেসের ওপরেও তীব্র আক্রমণ করেন।
তিনি বলেন, 'কংগ্রেসের আমলে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা খুবই খারাপ ছিল। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও পাকিস্তানের তরফ থেকে সন্ত্রাসী হামলা হত আর আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী মৌনি বাবা চুপ থাকতেন। মোদী শাসনে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা খুবই ভালো।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবী করেন, আজ পাকিস্তান দেশে হামলার কথা ভাবতেও পারে না। তিনি বলেন, "কংগ্রেস সরকারের আমলে, আমাদের সীমান্তে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটানো পাকিস্তানের অভ্যাস ছিল। তারা উরি এবং পুলওয়ামায় ষড়যন্ত্র চালিয়েছিল। পাকিস্তানকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং এয়ার স্ট্রাইকের মাধ্যমে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে।"
অমিত শাহ বলেন, "আমরা যা ভাবি তা আজ বিশ্ব মেনে নেয়। মোদী সরকারের আমলে আমাদের দেশের মান সারা বিশ্বে করা হচ্ছে। কংগ্রেসের শাসনামলে আমাদের দেশের পররাষ্ট্রনীতি অস্পষ্ট ছিল, কিন্তু আজ আমাদের বিদেশনীতি পরিষ্কার।"
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "২০১৪ সালে, দেশের মানুষ একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং অস্থিরতার পরিবেশের অবসান ঘটিয়েছিলেন। জনগণ আমাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে।" তিনি দাবী করেন, "দল ক্ষমতায় আসার ৯ বছর হয়ে গেছে। আজ আমাদের বিরোধীরাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওপর দুর্নীতির অভিযোগ করতে পারে না।"
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, "প্যারালাইসিস পলিসির কারণে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অস্থিতিশীল ছিল। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে ১১তম স্থানে নিয়ে যান অটল বিহারী বাজপেয়ী। অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং ১০ বছর দেশ শাসন করেছেন। এই সময় তিনি একটি উপকার করেন যে, তিনি অর্থ ব্যবস্থাকে একাদশ থেকে দশম স্থানে যেতে দেননি।"
অমিত শাহ আরও বলেন, "এর পরে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হন এবং ৯ বছরে দেশের অর্থনীতি ৫তম স্থানে পৌঁছে গিয়েছে এবং শীঘ্রই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। এ নিয়ে কারও সন্দেহ নেই।"
No comments:
Post a Comment