সেতুর দাবীতে পায়ে হেঁটে জলপাইগুড়ি থেকে নবান্ন যাবেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য, সঙ্গে স্থানীয়রা
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ০৭ অক্টোবর: দাবী পূরণ না হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে পায়ে হেঁটে নবান্নে পৌঁছাবেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জিত কর্মকার।
আজও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে গৌরীহাট এলাকার করলা নদীর উপর সেতুটি। সেতুর দু'পাশের অধিকাংশ রেলিং ভেঙেছে। ছোট যানবাহনের পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ এই পথে যাতায়াত করছেন। বিশেষ করে প্রতি মঙ্গলবার স্থানীয় হাট বসায় ভিড়ের পরিমাণ ঐদিন অনেকটাই বেশি থাকে। তাছাড়া স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই এই সেতু পারাপার করছে বলে স্থানীয়দের বক্তব্য।
সেতুর যা অবস্থা তাতে যেকোনও সময় যে কেউ নদীতে পড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। এদিকে সেতুর মাঝ বরাবর প্রায় ৩ ফুট বসে গেছে। সেতু ভেঙে পড়ে প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। বছর পাঁচেক ধরেই বেহাল পাতকাটা ও অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যবর্তী করলা নদীর ওপর এই সেতুটি। জমি জট সহ একাধিক কারণে নতুন সেতুর কাজে হাত দিয়েও পিছিয়ে যেতে হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
স্থানীয় বাসিন্দা সুশান্ত মণ্ডল জানান, 'অনেক সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। এখন সেতুটি হওয়া খুব প্রয়োজন। দুর্ঘটনা এড়াতে এখনই সেতু তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিৎ।'
এদিকে এবারের দুর্গা পূজার পর সেতু তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে বাসিন্দাদের নিয়ে জলপাইগুড়ি থেকে পায়ে হেঁটে সোজা নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দরবার করার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জিত কর্মকার।
তিনি বলেন, 'জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এক বছর আগে টেন্ডারের মাধ্যমে সেতু তৈরির কাজ শুরু হলেও দেখা যায় ইঞ্জিনিয়াররা ভুল জায়গায় কাজ শুরু করছেন। তখন কাজটি বন্ধ হয়ে যায়।' প্রশাসনিক সূত্রে খবর, দুর্গা পুজোর পরই সেতুর কাজে হাত দেওয়া হবে। তবে এবার কাজ না হলে বৃহত্তর স্বার্থে স্থানীয়দের নিয়ে পায়ে হেঁটে নবান্ন রওনা হবেন বলে জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment