বিয়ের এক বছরেই বাবা হতে চলেছেন জনপ্রিয় এই বাঙালি গায়ক, দিলেন সুখবর
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৭ অক্টোবর:সঙ্গীত জগতের একটি পরিচিত নাম হল দুর্নিবার সাহা। চলতি বছরের মার্চ মাসেই তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-এর সহকারী মোহর ওরফে ঐন্দ্রিলা সেন সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন। আর পুজোর মরশুমেই শোনালেন আরও এক খুশির খবর। মোহর-দুর্নিবারের জীবনে এবার আসতে চলেছে খুদে অতিথি। সেই খবর মোহর ও দুর্নিবার ঘোষণা করেছেন নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে।
২০২১ সালে প্রেমিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেছিলেন দুর্নিবার। বেশ ধুমধাম করেই বিয়ে হয়েছিল তাদের। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে সম্পর্কে ভাঙন। এরপরই প্রসেনজিতের সহকারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুর্নিবার। সম্পর্কের কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘোষণাও করেছিলেন তারা। মোহরের সঙ্গে কয়েকমাস প্রেম পর্বের পরই তারা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়েন।
তবে এই বিয়ে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বারংবার কটাক্ষের শিকার হয়েছেন দুর্নিবার ও মোহর। মোহর এবং দুর্নিবারের সম্পর্ক নিয়ে যত বিতর্ক হয়েছে, সব কিছুকেই বরাবর বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এসেছেন তারা, অন্তত তাদের সমাজমাধ্যমের পোস্ট তেমনই ইঙ্গিত দেয়। বিয়ের আগে ও পরে একাধিকবার ট্রোল হতে হয়েছে তাদের। তবে এখন সবকিছুই অনেকটা থিতিয়ে গিয়েছে।
আর এসবের মধ্যেই দেবীপক্ষের প্রথম দিনেই সুখবর দিয়েছেন দুর্নিবার ও মোহর। ফেসবুকে দুর্নিবার একটি পোস্ট করেছিলেন। যাতে লেখা ছিল,আমরা খুব আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, একটা ছোট্ট চমৎকার আসছে। ঘুমোতে ঘুমোতে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এবার সেটাই করব, যেটা আমরা চেয়ে এসেছি। সঙ্গে ক্যাপশনে শুভ মাতৃপক্ষ লিখেছেন দুর্নিবার। পাশাপাশি মোহর ইনস্টাগ্রামে তাদের সন্তানধারনের খবর শেয়ার করেছেন।
তবে এই খবরে দুর্নিবারের জীবনে কী কী পরিবর্তন হয়েছে? তিনি কতটা তার স্ত্রীর প্রতি যত্নবান হয়েছেন আগের থেকে? এই সকল প্রশ্নের উত্তরে গায়ক জানিয়েছেন, জীবনে আরও এক ধাপ এগোচ্ছি। খুবই উত্তেজিত। আর মোহরের প্রতি যত্ন বরাবরই ছিল। এখন হয়তো আরও একটু বেশি সচেতন হয়েছি। তবে এই নতুন দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত কি না, এখনই বলতে পারছি না। সময় এলে বুঝতে পারব, ঠিক কতটা প্রস্তুত।
২০২৪ সালের প্রথম দিকেই দুর্নিবার আর মোহরের সন্তান পৃথিবীর আলো দেখবে। তবে প্রসেনজিতের পিআর হেড মোহর। কিন্তু প্রেগন্যান্সির এই সময়টা কীভাবে নিজের কাজ সামলাচ্ছেন? এই প্রশ্ন করলে উত্তরে মোহর জানান, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রথমে খবরটা শুনে বেশ অবাকই হয়েছিলেন। পরে নিজেই ফোন করে বাইরে বেরোতে মানা করেছেন। প্রথম কয়েকমাস খুব সাবধানে থাকতে বলেছে। তাই আমি এখন বাড়ি থেকেই কাজ সামলাচ্ছি। কাজের জায়গায় এমন সহযোগিতা সব মেয়ে পায় না। সেদিক থেকে আমার ভাগ্য খুবই ভাল।
No comments:
Post a Comment