বিয়ের পিড়িতে নন্দিনী! হবু বরের পরিচয় ফাঁস হতেই তোলপাড় নেট পাড়া!
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২ অক্টোবর: এখন বিয়ে না করলে আমার আর বিয়েই হবে না। হাজারও মনখারাপের মাঝে এবার খুশির খবর শোনালেন ভাইরাল নন্দিনী দিদি। এবার নাকি তিনি বিয়ে করতে চলেছেন। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে তিনি হলেন সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেশন। ডালহৌসিতে তার পাইস হোটেলের কথা এখন আশাকরি কারোরই অজানা নয়। বাবা-মায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বছর তিনেক ধরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সমান তালে কাজ করে চলেছেন নন্দিনী। একসময় ফ্যাশান ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করতেন।
কিন্তু তারপর বাবার রবারের ব্যবসা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পরিবারে নেমে আসে ঝড়। টাকার জন্য বাড়ি, গয়না, সেভিংস সব বিক্রি করে দিতে হয়। পরিবারের এমন অবস্থা দেখে নিজেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। একসময় প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর বহু কষ্টে পরিবারের সেবায় ফিরে আসেন স্বাভাবিক জীবনে। এমনকি একটা সময় তার মাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর এই টানা পোড়েনের মাঝেই এই পাইস হোটেল খোলেন নন্দিনী।
যথারীতি কোনোক্রমে ২০-৩০ প্লেট বিক্রি করে তার দিন চলতো। কিন্তু হঠাৎ করেই একজন ফুড ব্লগারের হাত ধরেই তিনি উঠে আসেন সংবাদের শিরোনামে। হয়ে যান ভাইরাল। আর তারপর থেকে তার দোকানে প্রতিদিন ভিড় জমায় বহু মানুষ। ব্যস্ত অফিসপাড়ায় তার হাতের রান্নার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই। এমনকি তাকে ঘিরে ইউটিউবারদের মাতামাতির কথা আশাকরি কারোর অজানা নয়। কিন্তু তারই মাঝে দিনকয়েক আগে নন্দিনী এক ইউটিউবারের ভিডিওটিতে বলেছিলেন যে, আর কিছুদিন পর তোরা হয়তো আমাকে এখানে নাও দেখতে পারিস।
এমনকি নন্দিনী আরও বলেছিলেন যে, কিছু জিনিস আছে তোদের আমি সবটাই বলবো। নন্দিনী থেকে নন্দিনী দিদি হয়েছি তোদের জন্য। তোদের জন্যই আমি আজ এখানে। এরপরই আক্ষেপের সুরে বলেন যে, কেউ একটু উপরে উঠলে তাকে সকলে মিলে টেনে নামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু রাখে হরি মারে কে। আর তারপর থেকে শুরুহয় জল্পনা-কল্পনা। রোটে যায় নন্দিনী দির পাইস হোটেল নাকি বন্ধ হতে চলেছে। যদিও তারপরই সুর পাল্টে নন্দিনী জানায় যে, তিনি নাকি নতুন আউটলেট অর্থাৎ শাখা খুলতে চলেছেন।
নন্দিনী জানান যে, নিউ টাউন ও দক্ষিণ কলকাতায় তিনি এই শাখা খুলবেন। যথারীতি এই খবরে তাকে বহু মানুষ শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। আর এবার আরও একটি ভালো খবর শোনা গেল। নন্দিনী নাকি বিয়ে করতে চলেছেন। ইতিমধ্যেই নন্দিনী তার প্রেমিক রুদ্র দাসের সঙ্গে সকলের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। আর এবার পালা চার হাত এক হওয়ার। পেশায় একজন ব্যবসায়ী রুদ্র। সিমলায় তাদের থাকার হোটেলের ব্যবসা আছে।
নন্দিনীর কথা এখন বিয়ে না করলে আমার আর বিয়েই হবে না! আর তাইতো দীর্ঘদিনের প্রেমিক রুদ্রর গলাতেই নন্দিনী মালা দেবেন বলে জানিয়েছেন। এমনকি পুজোর আগে এনগেজমেন্টও সেরে ফেলতে পারেন। আর তারপর বাকি থাকবে সাত পাকে ঘোরার। এবার শুধু দেখার পালা কবে ছাদনা তলায় পা রাখেন সকলের প্রিয় নন্দিনী দি।
No comments:
Post a Comment