ভূত চতুর্দশী কী? কেন পালন করা হয়?
কলকাতা: অমাবস্যার আগে চতুর্দশীর দিন পঞ্চভূতির পরিশোধনের অনুষ্ঠান করা হয়, একে বলে ভূত চতুর্দশী। ভূত চতুর্দশী বলতে আমাদের মনে আসে আত্মা বা পরলোকের বাসিন্দাদের কথা যারা অতীত হয়েছে তারাই ভূত। তবে, এ ভূত সেই ভূত নয়। শাস্ত্রমতে আমাদের শরীর পঞ্চ ভূতে তৈরি; ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম। অর্থাৎ বায়ু, অগ্নি, জল, ভূমি ও আকাশ- এই পাঁচটি ভূতের মিলনে আমাদের দেহ তৈরি হয়। পঞ্চভূতে নির্মিত এই দেহ ও মন সংশোধনের জন্যই চতুর্দশীর দিনটি পালন করা হয়।
কিন্তু কেন?
কারণ কোনও যন্ত্র দীর্ঘদিন চলার পর তাতে যেমন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, আমাদের দেহ একটি যন্ত্র। তাই দীর্ঘদিন চলার পরে তাতে নানা দুর্বলতা আসতে পারে। এই দুর্বলতা বা ক্ষয় শুধু দেহেই নয়, চিন্তাতেও আসে। শারীরিক ও মানসিক্য আটকানোর জন্য ১৪ রকম শাক একসঙ্গে রান্না করে খাওয়ার মাধ্যমে তা পরিশোধন হয়। বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে এটাও একটি। শরীর, মন ও সামাজিকভাবে সুন্দর থাকার জন্য এই প্রথা মেনে চলা।
কেন পালন করা হয় দিনটি?
এই দিনটি আমাদের সমস্ত মানুষের দুর্বলতা জয় করার প্রতিশ্রুতির দিন। খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা, মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণের প্রতিশ্রুতি পালন করা হয় এই দিনে। অন্ধকারের মধ্যেই যেমন আলোর সৃষ্টি, তেমন অন্ধকার রাতে ১৪টা প্রদীপ জ্বালিয়ে অন্ধকারকে দূর ঠেলে আলোকিত করে এই দিনটি উদযাপন করা হয়।
এছাড়াও ঋতু পরিবর্তনের এই সময় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই এই সময় চৌদ্দ শাক খাওয়া জরুরি, এটা ওষুধের মতোই কাজ করে।
No comments:
Post a Comment