জানেন কম্পিউটারের এই ডিভাইসটির নাম মাউস কেন?
প্রদীপ ভট্টাচার্য, ২৬শে অক্টোবর, কলকাতা: কম্পিউটারের এই ডিভাইসটির নাম মাউস কেন? মাউস কিন্তু ইঁদুর নয়, তাহলে কেন এমন নাম রাখা হয়েছে এই ডিভাইসটির? ইঁদুরের সঙ্গে কি এর কোনো যোগসূত্র রয়েছে? ইতিহাস ঘেঁটে জানা গেল সেই কারণ।
মাউস অর্থাৎ ইঁদুর বললেই মনে পড়ে লেজযুক্ত ছোট্ট একটা প্রাণী, যে কিনা নষ্ট করে বিভিন্ন দরকারি কাগজপত্র থেকে শুরু করে জমির শস্য। কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে যে মাউস মানুষের হাতে উঠে এসেছে তা বিনাশ না করে বরং নতুন কিছু সৃষ্টি করে চলেছে অনবরত। কম্পিউটার বা ল্যাপটপে দ্রুত কাজ করতে মাউসের বিকল্প কিছু নেই। তবে এটির নাম মাউস হলেও এটি কিন্তু আদতে ইঁদুর নয়। তবে কেন এমন নামকরণ করা হয়েছে কম্পিউটারের এই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসটির?
১৯৬০ সালে ডগলাস কার্ল এঞ্জেল বার্ড এই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস তথা মাউস আবিষ্কার করেন। মাউস যখন আবিষ্কৃত হয় তখন একে পয়েন্টার ডিভাইস বলা হতো। ডগলাস কার্ল এঞ্জেল বার্ড প্রথম মাউস তৈরি করেন, যা কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। এছাড়া এতে দুটো ধাতব চাকাও ছিল। মাউস আবিষ্কারের পর দেখা যায় এই ছোট্ট যন্ত্রটি দেখতে একটা লুকিয়ে থাকা ইঁদুরের মতো লাগছে। তাছাড়া এর পেছন থেকে বেরিয়ে আসা তারটিও ইঁদুরের লেজের মত ছিল। শুধু তাই নয় ইদুর যেরকম দ্রুত সব কাজ করে মাউসও সেরকম দ্রুত সব কাজ করে ফেলতে পারে। আর এইসব কারণেই ডিভাইসটির নাম দেয়া হয়েছে মাউস।
তবে মাউস বা পয়েন্টার ডিভাইস ছাড়াও এর আরেকটি নাম টার্টল, যার বাংলা হল কচ্ছপ। কারণ এটির খোলস কচ্ছপের মতো শক্ত আর এর আকারও প্রায় একই রকম। কিন্তু কচ্ছপের গতি খুবই কম হওয়ায় টার্টল না হয়ে এটি মাউস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে বর্তমানে লেজ ছাড়াও মাউসের ব্যবহার শুরু হয়েছে, যেগুলো প্রধানত নতুন
প্রযুক্তিতে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করা যায় যা ওয়ারলেস মাউস হিসেবেও পরিচিত।
No comments:
Post a Comment